বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত এই ক্ষমতা কার্যকর থাকবে।
‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই অধিকার লাভের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
এছাড়া, তারা ‘ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন। এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ফৌজদারী মামলার কার্যক্রম পরিচালনা, মামলা গ্রহণ, অভিযোগ পর্যালোচনা এবং জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হবেন। তাদের এই ক্ষমতা দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনিক কার্যক্রমে আরও দক্ষতা আনার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এই পদক্ষেপ জনগণের নিরাপত্তা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কর্মকর্তাদের এই নতুন ক্ষমতা কার্যকরভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুদৃঢ় হবে এবং জনগণের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সচেতনতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া, বিভিন্ন কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে, এটি দেশের প্রশাসনিক কার্যক্রমে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।