এরশাদ ক্ষমতা দখল করেছে ২৪ মার্চ। এ দিনটি জাতির ইতিহাসে ‘কালো দিবস’ বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই দিনে এরশাদ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন। সংবিধান স্থগিত করে বাক, ব্যক্তি, বিবেক, মুদ্রণ ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানুষের সব নাগরিক স্বাধীনতা হরণ করে নেয়।বৃহস্পতিবার এরশাদের ক্ষমতা দখলের দিনে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ও সরকারকে বন্দুকের নলের মুখে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করেন। শহীদ জিয়ার পুনরুজ্জীবিত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করেন। সংবিধান স্থগিত করে কেড়ে নেন বাক, ব্যক্তি, বিবেক, মুদ্রণ ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানুষের সব নাগরিক স্বাধীনতা।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহে স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে জোরালোভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের এই দিনটিতে স্বৈরাচার এরশাদ অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসের নির্লজ্জ স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে। এ সময় তিনি জনগণের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর দেশবাসীকে এক চরম বিভীষিকাময় অবস্থায় রাখেন।
তিনি আরও বলেন, অনৈতিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হতে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস সবই স্বৈরাচারী শাসনের অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়। ক্ষমতায় থাকার সময়ে ছাত্র-গণআন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে গিয়ে স্বৈরশাসকের পেটোয়া বাহিনী গুলি চালিয়ে হত্যা করে অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচিত করে।
বারবার যিনি গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারের বন্দিশালা থেকে মুক্ত করেছেন সেই খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাক করে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।এ সময় মির্জা ফখরুল বর্তমান দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে সংগ্রামী অভিযাত্রায় শামিল এবং বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আওয়াজ তোলার আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।