সাবেক আইজিপি আল-মামুনসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:২২ অপরাহ্ন
সাবেক আইজিপি আল-মামুনসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম, পিপিএম পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব তৌছিফ আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।  


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিতর্কিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে এই পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুকূলে প্রদানকৃত বাংলাদেশ পুলিশ পদক-২০১৮ এর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা), রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা) নির্দেশক্রমে প্রত্যাহার করা হলো।  


পদক প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা এবং অভিযোগের প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওই নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগের ব্যাপক জয়লাভের পাশাপাশি বিরোধী দলগুলোর ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।  


পদক প্রত্যাহার হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ছাড়াও বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার নাম রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় পক্ষপাতিত্ব ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।  


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে পদক প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া না হলেও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পুলিশ বাহিনী এবং প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা চলছে। পদক প্রত্যাহারের এই ঘটনাকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।  


পদক প্রত্যাহার হওয়া কর্মকর্তাদের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে এই পদক্ষেপ পুলিশ বাহিনীতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বলে জানা গেছে।  


সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে জবাবদিহিতার অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। এই পদক প্রত্যাহারের প্রভাব আগামী দিনে পুলিশ প্রশাসনে কতটা পড়বে, তা নিয়ে এখনই স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না।