এ দেশ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে ফেলার অন্যতম ভিকটিম জাবি: শিবির সেক্রেটারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার ৩০শে অক্টোবর ২০২৪ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
এ দেশ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে ফেলার অন্যতম ভিকটিম জাবি: শিবির সেক্রেটারি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "এই ভূখণ্ডে 'ইসলাম' ও 'মুসলিম' শব্দ মুছে দেওয়ার অন্যতম ভিকটিম হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়।" তার এই মন্তব্য বুধবার (৩০ অক্টোবর) সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং এটি ছিল দেশের প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হওয়ার পর নাম থেকে 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। ছাত্র শিবিরের পক্ষ থেকে এই নাম পরিবর্তনকে ইসলামবিরোধী একটি উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।


এদিকে, গতকাল রাতের এক বিবৃতিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ রাফি ও সেক্রেটারি মহিবুর রহমান মুহিব তাদের নাম প্রকাশ করেছেন। তারা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সক্রিয় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তারা কাজ করবেন। তাদের উদ্দেশ্য হলো, সুস্থ ধারার রাজনৈতিক চর্চা চালিয়ে যাওয়া এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে বিকশিত করা।


নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমরা আবাসিক হলগুলোতে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি এবং মাদকের বিস্তার রোধে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাব।” 


ছাত্র শিবিরের নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, কিছু গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা ১৯৮৯ সালের সিন্ডিকেট সভার উল্লেখ করে বলেন, “সেখানে শিবির নিষিদ্ধের কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি, বরং শিবিরের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাবহির্ভূত হওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।”


শিবির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, "গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী দুঃশাসনের কারণে রাজনীতির সংজ্ঞাই পাল্টে গেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি চাই।" তারা ২৪ শে ফেব্রুয়ারির শহিদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোকে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন।


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।