বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা সক্রিয়।” তিনি সতর্ক করে জানান, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে দোসরদের উপস্থিতি সংস্কার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে।
তারেক রহমান বলেন, “মাফিয়া সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে মেরামত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। ১৫ বছরের জঞ্জাল পরিস্কার করার কাজটি বিশাল এবং এর সফলতা নিশ্চিত করতে হলে জনগণের দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে গুরুত্ব দিতে হবে।”
তিনি আরও জানান, “বর্তমান সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের সাফল্য জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা না হলে প্রশ্নের সম্মুখীন হবে। এ কারণে সরকারের কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এজেন্ডাভিত্তিক করতে হবে।”
এছাড়াও, গত ১৫ বছরে মাফিয়া সরকারের দুঃশাসনের ফলে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম ও খুন করা হয়েছে। ভোটের অধিকারবিহীন নাগরিকের অবস্থা যুদ্ধের অস্ত্রবিহীন সৈনিকের মতো।”
তারেক রহমানের বক্তব্যের পর, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সহযোগিতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে, তারেক রহমানের বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ এক মেসেজ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং নাগরিকের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপির এই উদ্যোগ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।