ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাংলাদেশের অভিবাসীদের নাগরিকত্ব স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌম্যা সাহা , কলকাতা প্রতিনিধি ভারত
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৭ই অক্টোবর ২০২৪ ০৫:২১ অপরাহ্ন
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাংলাদেশের অভিবাসীদের নাগরিকত্ব স্থগিত

 ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) প্রকাশিত হয়েছে। আদালতের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের আসাম রাজ্যে যারা প্রবেশ করেছেন, তাদের মধ্যে মাত্র ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে আসা লোকদেরকে বৈধ নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হবে।


ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেয়। রায়ের আওতায় যেসব অভিবাসী ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ ১৯৭১ এর মধ্যে ভারত প্রবেশ করেছেন, তাদের নাগরিকত্বের সুযোগ-সুবিধা মিলবে। এ ছাড়া, ওই সময়ের পরে আসা অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদন আপাতত গ্রহণযোগ্য হবে না।


বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা। উল্লেখযোগ্য হলো, জেবি পার্দিওয়ালা রায়ের বিপক্ষে মত দেন, যার ফলে রায়ে একটি বিতর্কিত দিক প্রকাশ পায়।


আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আসামের রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এর ফলে রাজ্য সরকারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।


ভারতের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। এর অর্থ হলো, ওই সময়ের পরে যেসব বাংলাদেশি ভারতে প্রবেশ করেছেন, তারা নাগরিকত্বের সুবিধা পাবেন না। এই সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশের অভিবাসীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ভূমিতে বসবাস করছেন।


রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই রায়টি ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং অভিবাসন নীতির নতুন দিগন্ত খুলতে পারে। বিষয়টি যথাযথভাবে মনিটর করতে এবং ভুক্তভোগীদের স্বার্থ রক্ষা করতে দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা জরুরি বলে মত দিয়েছেন তারা।