ভারতে ২৫ বছর সাজা খেটে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন ১১ মুসলিম নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ২রা মার্চ ২০১৯ ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
ভারতে ২৫ বছর সাজা খেটে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন ১১ মুসলিম নেতা

ভারতে ভুসাওয়াল সন্ত্রাস মামলায় ২৫ বছর সাজা খাটার পর ১১ মুসলিম নেতা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ভারতের বিশেষ টাডা আদালত তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছে। বিচারপতি এস সি খাতি ওই ১১ জন মুসলিম নেতাকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এদের ক্ষেত্রে সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাব রয়েছে এবং তদন্তের সময় টাডা আইনের বিধান যথাযথভাবে মানা হয়নি। টাডা হলো ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ আদালত। এর পুরো নাম- টেরোরিস্ট অ্যান্ড ডিসরাপ্টিভ অ্যাক্টিভিটিজ (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট। ১৯৯৪ সালে হিন্দুত্ববাদীদের হাতে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পর টাডা আইনে এই ১১ মুসলিম নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ভারতের সংবাদমাধ্যম বার্তা ভারতী এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ২৮ ফেব্রুয়ারি। আজ ১ মার্চ, শুক্রবার দ্য কগনেটসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তবে নামকরা ও বহুল পরিচিত কোনো সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে কোনো প্রতিবেদন অনলাইনে পাওয়া যায়নি।

বেকসুর খালাস পাওয়া ১১ মুসলিম নেতা হলেন- জামিল আহমেদ আবদুল্লাহ খান, মোহাম্মদ ইউনুস মোহাম্মদ ইসহাক, ফারুক নাজির খান, ইউসুফ গুলাব খান, আইয়ুব ইসমাইল খান, ওয়াসিমুদ্দিন শামসুদ্দিন, শায়খ শফি শেখ আজিজ, আশফাক সৈয়দ মুর্তজা মীর, মুমতাজ সৈয়দ মুর্তজা মীর, হারুন মোহাম্মদ বাফাতি ও মাওলানা আব্দুল কাদির হাবিবি। ১৯৯৪ সালের ২৮ মে তাদের মহারাষ্ট্রসহ ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই মুসলিম নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তারা কথিত জঙ্গি সংগঠন ভুসাওয়াল আল-জিহাদের সদস্য। তারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিশোধ নিতে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করছেন। এই নেতাদের আইনজীবী পর্ষদের প্রধান গুলজার আজমি বলেন, ন্যায়ীবচার থেকে বঞ্চিত করা হয়নি, কিন্তু এই মানুষগুলো তাদের মূল্যবান জীবন থেকে এতগুলো বছর হারালেন। এর জন্য দায়ী কে? সরকার কি তাদের ক্ষতি পূরণ করবে এবং তাদের সম্মান ফিরিয়ে দেবে? এদের পরিবারের সদস্যরাও অনেক ভুগেছেন; অনেক স্বজন মারাও গেছেন। ‘রাষ্ট্রপক্ষের অর্ধেকের বেশি সাক্ষী সরকারের বিরুদ্ধেই সাক্ষ্য দিয়েছে। এতেই প্রমাণ হয়, মামলাটা ছিল মিথ্যা দিয়ে সাজানো,’ বলেন আজমি।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব