কাশ্মীরে আরও ১০০ কোম্পানি সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট ( জে কে এল এফ) এর প্রধান ইয়াসিন মালিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের পর জরুরি ভিত্তিতে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নোটিশ জারি করে শ্রীনগরে সেনা পাঠানোর ব্যবস্থা করে। জম্মু ও কাশ্মিরে আগে থেকেই বিপুলসংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করেছিল ভারত। সেনা মোতায়েনের কারণে কাশ্মীরজুড়ে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পুলওয়ামায় ভয়াবহ হামলার পর থেকেই জম্মু - কাশ্মীরের পরিবেশ থমথমে। উত্তেজনা বেড়েই চলেছে ক্রমাগত। কাশ্মীরের সাধারণ জনগনকে ভারতীয় বাহিনী হয়রানি করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও সাধারণ কাশ্মীরিদের হয়রানি না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পুলওয়ামা হামলার পর থেকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৪৪ ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য নিহত হওয়ার পর এখনো অস্থির রয়েছে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকাটি। ভারত এ হামলার দায়ভার পাকিস্তানের ওপর চাপালেও পাকিস্তান শুরু থেকে তা অস্বীকার করছে। পাক-ভারত উভয় দেশের হুমকি পাল্টা হুমকির মধ্যেই নতুন করে সামরিক শক্তি বাড়ালো ভারত। এদিকে আগামী সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে আর্টিকল ৩৫-এ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতা ইয়াসিন মালিককে গ্রেফতার করায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে কাশ্মীরজুড়ে। ১৯৫৪ সালে ভারতীয় সংবিধানের আওতায় আসা এই আর্টিকেলে জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরিকদের বিশেষ অধিকার ও সুবিধা দেওয়ার কথা রয়েছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।