কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় উত্তাল মুসলিম অধ্যুষিত জম্মু-কাশ্মীর। সেখানে চলছে একের পর এক ভারতীয় বাহিনীর সামরিক অভিযান। এসব অভিযানে সমর্থন রয়েছে মোদি সরকারের। পুলওয়ামায় হামলার পর মঙ্গলবার কাশ্মীরিদের সতর্ক করে দেশটির সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ডিলন বলেন, কেউ অস্ত্র হাতে তুলে নিলে গুলি করে হত্যা করে হবে। এ সময় তিনি কাশ্মীরি মায়েদের উদ্দেশ করে বলেন, আপনাদের জঙ্গি ছেলেদের আত্মসমর্পণ করতে বলুন; না হয় দেখামাত্র গুলি করে মারা হবে। গত বৃহস্পতিবারে ভারতীয় সিআরপিএফের ৪৯ সদস্য বোমা হামলায় নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে কাশ্মীরিদের এ হুমকি দেন তিনি। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জাইশ-ই-মোহাম্মদ নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় দায়িত্ব নিয়েছে। তবে পাকিস্তান সরকার এ হামলার দায় এড়িয়ে বলছে, এ হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ হামলার ঘটনায় পারমাণবিক সশস্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী মে মাসে দেশটির সাধারণ নির্বাচন অংশ নিচ্ছেন। তাই অভ্যন্তরীণ চাপে থাকায় এর সঠিক প্রতিশোধের ঘোষণা দেন। তিনি সেনাবাহিনীকে এ ঘটনায় যে কোনো পদক্ষেপ নিতে মুক্ত ঘোষণা দেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একটি টেলিভিশন দেওয়া সাক্ষাৎকারে হামলার দায় নিতে অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, বোমো হামলার সঙ্গে তার দেশের কোনো সম্পর্ক নেই। বিভক্ত কাশ্মীরের অংশে ভারতীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জে এস ডিলন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে অভিযুক্ত করে বলেন, মুসলিম-অধ্যুষিত কাশ্মীরে গত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ ভয়ঙ্কর হামলা চালানো হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরের সাংবাদিকদের ডিলন বলেন, আমি কাশ্মীরের প্রত্যেক মায়েদের অনুরোধ করছি, যেসব সন্তান সন্ত্রাসী হয়েছে তাদের আত্মসমর্পণ করতে অথবা মূলধারায় তাদের ফিরে আসতে বলেন, অন্যথায় হাতে অস্ত্র তুলে নিলে গুলি করে হত্যা করা হবে। বোমা হামলাকারী ২০ বছর বয়সী যুবকের পরিবার দাবি করছে, ৩ বছর আগে ভারতীয় সেনাদের প্রহারের পর সে জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগদান করে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।