নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা যুবদলের স্থগিত কমিটির সদস্য সচিব সাহেব উদ্দিন ওরফে রাসেলকে চাঁদাবাজির অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত রোববার যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাঁদাবাজির অডিও ক্লিপের ভিত্তিতে রাসেলকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। যুবদল স্পষ্ট জানিয়েছে যে, বহিষ্কৃত নেতার কোনো অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের তাকে এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮ দিন আগে কাদরা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ঠিকাদার খন্দকার মুকুলের কাছে রাসেলের চাঁদা দাবির একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি কেন্দ্রীয় যুবদলের নজরে আসার পর দ্রুত তদন্ত করে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে সোমবার সকালে সেনবাগ দক্ষিণ বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান সাহেব উদ্দিন রাসেল। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা চাঁদা দাবির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, এটি ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা অভিযোগ। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পুনর্বহালের দাবি করেন।
নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগের পক্ষে অডিও ক্লিপ থাকা সত্ত্বেও রাসেল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে কেন্দ্রীয় যুবদল প্রমাণের ভিত্তিতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এই ঘটনায় যুবদলের অভ্যন্তরে দলীয় শৃঙ্খলার প্রশ্ন এবং স্থানীয় রাজনীতির নানা বিতর্ক নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।