ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামে পুকুর দখল ও মাছ লুটের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাছ চাষি সাজেদুল ওজুদ নামক এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ও তার সহযোগী ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী দেশী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার পুকুর থেকে ১৮ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে গেছেন। এ ছাড়া তারা পুকুরের পাশের জমিতে লাগানো প্রায় ৫’শ কাঁদি কলা কেটে ফেলেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী সাজেদুল ওজুদ জানান, তিনি বাগুটিয়া মৌজায় ১৪ একর ৩০ শতক জমি লিজ নিয়ে ৫টি পুকুরে মাছ চাষ করছিলেন। সম্প্রতি সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন, মুছা মন্ডল, রসুল, রাকিবসহ আরও কয়েকজন লোক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পুকুরে ঢুকে মাছ লুটপাট করেন। সাজেদুল আরো জানান, সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ আক্রমণের কারণে তিনি তৎকালীন পরিস্থিতিতে মামলা করতে পারেননি, তবে এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ায় তিনি ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং ঝি/সিআর-৮১৪/২৪)।
মামলার বাদী অভিযোগ করেন, সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন তার বাহিনী দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন, যার ফলে বর্তমানে ৪০টি পরিবার ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ঘটনার পর পরই সাক্ষী দরবেশ জোয়ারদারকে মারধর করা হয়েছে এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন দাবি করেছেন, তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন এবং এটি সামাজিক দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ সাজেদুল তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘মাছ লুট বা কলাগাছ কাটার ঘটনা আমি জানি না।’’
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আদালত থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা পাননি তারা। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং আদালতের আদেশ হাতে পেলেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।