রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে। বিকেল ৩টায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করবেন।রায়ের ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ গণমাধ্যমকে বলেন, ১৩ কার্যদিবসে আমরা এ মামলার কার্যক্রম শেষ করেছি। একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে আমরা ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাই আমরা মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছি।
এদিকে মজনুর আইনজীবী (সরকার থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত) রবিউল ইসলামের দাবি, মজনুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। রায়ে মজনু খালাস পাবেন।১২ নভেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। মামলার ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। ১৩ কার্যদিবসে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন ওই ঢাবি ছাত্রী। এরপর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের একপর্যায়ে জ্ঞান হারান ওই ছাত্রী। ডাক্তারি পরীক্ষায় নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।
রাতে জ্ঞান ফিরলে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান তিনি। রাত ১২টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন সহপাঠীরা।ধর্ষণের ওই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে শিক্ষার্থী ফুঁসে ওঠে। শুরু হয় বিক্ষোভ-আন্দোলন। র্যাবের হাতে ধরা পড়ে মজনু। ওই সময় র্যাব জানিয়েছিল, মজনু ভবঘুরে মানুষ। বিভিন্ন সময়ে তিনি একাধিক নারীকে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত।
