টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন বিভাগের জাতীয় উদ্যান দোখলা রেঞ্জের ১৫৭ একর জায়গার আনারস ও কলা বাগান কেটে দখলমুক্ত করা হয়েছে। গত বছরের জুন মাস থেকে এবছর জুন মাস পর্যন্ত অভিযানে এ জায়গা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জায়গায় শালবনের পরিবেশসম্মত টেকসই বাগান ও পশুখাদ্যের জন্য সুফল প্রজেক্টের বনায়ন করা হয়েছে।মধুপুরের বনভূমির উদ্ধারকৃত জায়গায় অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে সামাজিক বনায়ন ও পশুখাদ্যে চারা গাছ সৃজন করা হয়। সেই প্রজেক্ট দেখতে গত রবিাবর পরিদর্শন করেন বন পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রনালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, বন সংরক্ষক আর.এস.এম মনিরুল ইসলাম, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো: জহিরুল হক সহ বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা গন।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মধুপুরের দোখলা রেঞ্জের ছেগামারা,জয়নাগাছা,আমলীতলা ও অরণখোলা এলাকায় বন বিভাগের জায়গা স্থানীয় বেশ কয়েকজন ২০-২৫ বছর ধরে জবরদখল করে আনারস, কলা, আদা, হলুদসহ নানা কৃষি ফসল চাষ করে আসছিল। বন বিভাগ এসব জায়গায় অভিযান চালিয়ে উক্ত কয়েকটি এলাকায় ১৫৭ একর জায়গায় আনারস ও কলা বাগান কেটে দখলমুক্ত করেছে। মধুপুর শালবনের ঐতিহ্য ফেরাতে ও সুফল প্রজেক্টের আওতায় দেশীয় প্রজাতির বাগান ও পশুখাদ্যে পরিবেশসম্মত বাগান এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করার জন্য এ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ উদ্ধার অভিযানে কমিউনিটি ফরেস্ট ওয়ার্কার, বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী ও সিএমসি সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারে দোখলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ জানান, দোখলা রেঞ্জের শালবনের ভেতরে ছেগামারা,জয়নাগাছা,আমলীতলা ও অরণখোলা এলাকায় বন বিভাগের জায়গা স্থানীয় বেশ কয়েকজন ২০-২৫ বছর ধরে জবরদখল করে আনারস, কলা, পেপে, আদা, হলুদ চাষ করে আসছিলো। এসমস্ত জয়গা দখলমুক্ত করেছি। তিনি আরো জানান, মধুপুরের দোখলা রেঞ্জে যতদিন কর্মরত আছি ততদিন পর্যন্ত অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রাষ্ট্রের এই বন বিভাগের জমি উদ্ধার করে মধুপুরের গড় কে তার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিতে এঅভিযান অব্যহত থাকবে।
মধুপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক বলেন, আমাদের মধুপুর-ধনবাড়ী আসনের সংসদ সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি মহোদয় সব সময় খবর রাখেন। এবং কী মধুপুরের শাল গজারির গড় কে তার প্রাকৃতিক রূপ ফিরিয়ে দিতে কর্মকর্তাদেরকে প্রয়োজনীয় কর্মকানস্ড বেগবান করার নির্দেশ দেন। তবে মধুপুরে বন বিভাগের দোখলা রেঞ্জের কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ তিনি বনের সম্পদ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তার পাশাপাশি আমরাও চেষ্টা করব যাতে বন বিভাগের এক ইঞ্চি জমিও যাতে বেদখল কেউ করতে না পারে। বনের ঐতিহ্য ফেরাতে বাগান করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।