থানায় অভিযোগ করেও শেষ রক্ষা পেলেন না বাঞ্ছারামপুরের বাবু মিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার ১৭ই মে ২০২০ ১১:৫৫ অপরাহ্ন
থানায় অভিযোগ করেও শেষ রক্ষা পেলেন না বাঞ্ছারামপুরের বাবু মিয়া

থানায় অভিযোগ করেও ঘাতকের হাত থেকে বাঁচতে পারলেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মোটর মেকানিক ২৮ বছর বয়সী যুবক বাবু মিয়া।

রোববার দুপুরে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে। নিহত বাবু উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের আ. গরীব হোসেনের ছেলে।

বাবু মিয়া গত ৪ মে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ঘাতকদের বিরুদ্ধে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার মামাতো ভাই একাধিক মামলার আসামি সুজন মিয়া ও তার ভাইয়েরা রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে বাবু মিয়াকে।

বাবুর পরিবারের দাবি, পুলিশ সময়মতো সজিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে হয়তো বাবুর অকালে প্রাণ দিতে হতো না।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল মেকানিক বাবু মিয়ার সঙ্গে মোটরসাইকেল বেচাকেনা নিয়ে তার মামাতো ভাই সজিব মিয়ার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল কয়েক মাস ধরে। এই ঘটনার জের ধরে গত ৪ মে বাবুর উপর হামলা চালায় এবং ছুরিকাঘাত করে সজিব মিয়া। পরে বাবু মিয়া বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সজিব মিয়া বাবু মিয়ার পরিবারকে একাধিকবার অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হুমকি দেয়।

এর জের ধরে গত শনিবার রাত ৮টার দিকে বাবুর বড় ভাই কাইয়ূমের ওপর হামলা চালায় সজিব। ছুরিকাঘাতে আহত কাইয়ূম মিয়ার অবস্থা গুরুতর হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠায়।

রোববার দুপুরে বাবু মিয়া বাড়ির পাশের মাতুরবাড়ি মোড়ে গেলে সুজন ও তার ভাই সজীব ও সবুজ তাকে ধরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী বাবুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।

নিহত বাবুর ছোট ভাই আওলাদ হোসেন জানান, সজিবের সঙ্গে তার ভাইয়ের মোটরসাইকেল বেচাকেনা নিয়ে সমস্যা ছিল। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করল সে বিভিন্ন সময় তাদের পরিবারকে হুমকি দিয়েছে। বাবু থানায় অভিযোগ করেও বাঁচতে পারলো না।

নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বাবু থানায় আগে অভিযোগ করেছিল বিষয়টা তিনি শুনেছেন। আসামি গ্রেফতারের সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কারো কোনো গাফিলতি থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।