বরিশালের হিজলা উপজেলার নিবন্ধীত টিসিবি ডিলার টিসিবির পণ্য বিক্রিতে লোকসানের অজুহাতে অনীহা প্রকাশ করছে। আর এতে দেশের এই চরম পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও অসুবিধার সম্মুখীন এবং সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার সাধারণ জনগণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, হিজলায় চারজন টিসিবি ডিলার নিয়োগ করা হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি ডিলারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় কাজ শুরুর আগেই। সচল রয়েছে দুটি এর মধ্যে গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কাউরিয়া বাজারের সারমিন ট্রেডার্স, যার স্বত্বাধিকারী মোঃ সেলিম ফকির। তিনি জানান লকডাইনের কারণে পণ্য এনে বিক্রিতে খরচ বেশি পরে তাই তিনি এবার টিসিবি পণ্য বিক্রিতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
অপরটি হলো হরিনাথপুর ইউনিয়নের খান ট্রেডার্স, যার স্বত্বাধিকারী মোঃ মোক্তার হোসেন খান। তিনি জানান চলতি মে মাসের ৩ তারিখে পণ্য এনে হরিনাথপুরের চারটি স্থানে বিক্রি করেছেন। বিক্রিত পণ্যের মধ্যে ছিলো তেল, চিনি, ডাল, খেজুর ও ছোলা। তবে সব পণ্য বিক্রি করতে পারলেও ছোলা কেউ নিতে আগ্রহী না। তাই ছোলা নিয়ে তিনি বিপদে আছেন। তাছাড়া পণ্য আনতে খরচ বেশি লাগে তাই পরবর্তীতে পণ্য এনে বিক্রিতে তিনিও অনীহা প্রকাশ করেছেন। সাধারণ জনগণ বলছেন রোজার এই সময়টাতে ডিলারের পণ্য বিক্রি বন্ধ করাটা ঠিক হয়নি। টিসিবির পণ্যটা সচল থাকলে সাধারণ মানুষের উপকার হতো। তাছাড়া পেঁয়াজ ২৫ টাকা দরে কেনা যেতো।
এ ব্যাপারে হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমীনুল ইসলাম ইনিউজ৭১কে জানান, বাজার মনিটারিং এর কারণে পণ্যের দাম ততটা বৃদ্ধি পায়নি বলে টিসিবির ডিলারের উপর চাপ কম। তবে তিনি রোজা এবং ঈদ উপলক্ষে টিসিবি পণ্য চালুর জন্য ডিলারের সাথে কথা বলবেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।