কক্সবাজারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসেছেন কৃষকের পাকা ধান কেটে দিতে। শুধু মুখের কথা নয় ৩০ জন ছাত্র শনিবার দিনভর কেটে দিয়েছেন কৃষক হাফেজ আহমদের দেড় কানি ( ৬০ শতক) জমির পাকা ধান। কক্সবাজার শহর সংলগ্ন বাঁকখালী নদী তীরের খুরুশকুল ইউনিয়নের এ ঘটনা প্রশংসা পেয়েছে স্থানীয়দের। রাস্তার পাড়া গ্রামের কৃষক হাফেজ আহমদ বিপদের দিনে এ সহায়তা পেয়ে হতবাক।
কৃষক হাফেজ আহমদ জানান, তিনি এবার দুই কানি (৮০ শতক) জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছিলেন। ফলনও এবার ভালো হয়েছে। ক্ষেতের ফসলে পাক ধরেছে কিন্তু ধান কাটার মজুরের অভাব। এ অবস্থায় প্রতিবেশী ছাত্রলীগ নেতা অনিককে বলেছিলেন কষ্টের কথা। কিন্তু অবাক হয়ে দেখেন শনিবার সকালে আকস্মিক কাঁচি হাতে একদল ছাত্র উপস্থিত ধান কাটতে।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক এবং কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রলীগ সভাপতি মঈন উদ্দিন ঘটনা জেনেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা অনিকের কাছে থেকে। তিনিই সব আয়োজন করেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি মঈন বলেন, ‘শনিবার সকালেই একটি নৌকা নিয়ে কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ২১ জন ও খুরুশকুল ইউনিয়নের ৯ জনসহ ধান কাটায় যোগ দেই। বিষয়টি আমরা আগের দিনই জানিয়ে রেখেছিলাম পুলিশ সুপারকে। পুলিশের অনুমতি নিয়ে ও মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ধান কাটার কাজটি সেরেছি।
’দরিদ্র কৃষক হাফেজ ৩০ জন ছাত্রকে দুপুরের খাবার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু তারা রাজি হননি। একই গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা জামসেদের মায়ের রান্না করা ডাল ও আলু ভর্তা খেয়েই তারা দিনভর কাজ করেছেন। ধানক্ষেতের আইলে বসেই তারা খাওয়া দাওয়া করেন।
কৃষক হাফেজ আহমদ বলেন, ‘একজন শ্রমিকের মজুরি ৫/৬ শ টাকা। তার উপর দুই বেলা ভাত দিতে হয়। এই ছেলেগুলো আমার বড় উপকার করে দিয়ে গেছে। তাদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না, তবে দোয়া করছি।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।