প্রণোদনা নয়, চাকরির নিশ্চয়তা দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ১৫ই এপ্রিল ২০২০ ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
প্রণোদনা নয়, চাকরির নিশ্চয়তা দিন

শুরুতেই বলি, সাংবাদিকদের জন্য প্রণোদনা নয়, চাকরির নিশ্চয়তা দিন। কারণ প্রণোদনার ভার সাংবাদিকরা সহ্য করতে পারবেনা। প্রণোদনা অনেক ভারি। পুরো লেখার মাঝে লিখেছি বিস্তারিিত। তাই বলি প্রণোদনা নয়, চাকরির নিশ্চয়তা দিন। এই নিবেদন রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতার কাছে। এই নিবেদন রাষ্ট্রের মুল চালিকা যিনি, তার কাছে।

মহামারী অদৃশ্য করোনা ভাইরাসের প্রভাবে তটস্থ পুরো পৃথিবী। বাংলাদেশেও এই ভাইরাস হানা দিয়েছে। গত ৮ মার্চ ২০ প্রথম করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হয় দেশে। ইতালিফেরত কোন এক বাংলাদেশি প্রবাসীর শরীরে ভর করে এই ভাইরাস দেশে প্রবেশ করে। এটাও আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়েছে। না হয় ওই প্রবাসী কী জানতো যে তিনি বয়ে বেড়াচ্ছেন মরানঘাতি এক ভাইরাস।

এবার আসি মুল কথায়। আমাদের দেশে এই ভাইরাস আক্রমনের বয়স এখন দুইমাস। এরই মধ্যে হাজার ছাড়িয়েছে আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে প্রায় অর্ধশত। কার্যত ২৬ মার্চ থেকেই অবরুদ্ধ বাংলাদেশ। চলছেনা কোন গাড়ির চাকা। বন্ধ রয়েছে নৌ, রেল, বিমান ও স্থল পথ। সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা, গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিসহ(জরুরী মেডিকেল দ্রব্যদি উৎপাদন কারখানা ছাড়া) সব কিছুই বন্ধ। অনেক সংবাদপত্র প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ করে দিয়েছে, টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে অধীক সংখ্যাক কর্মীদের ছুটিতে পাঠিয়েছে। কেউ বিনা বেতনে, কেউ বা স্ববেতনে ছুটি দিয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক এই আন্তর্জাতিক ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি বিভিন্নখাতে প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। আর এই প্রণোদনার জন্য সাংবাদিক সমাজও উঠেপড়ে লেগেছে। একপর্যায়ে ভার্সুয়াল অর্থাৎ ফেসবুকভিত্তিক আন্দোলনও শুরু করেছে সাংবাদিক নেতারা। প্রণোদনা দিতে হবে সাংবাদিকদের। এই প্রণোদনা সাংবাদিকরা পাবে। মালিকদেরকে দেওয়া যাবেনা। এমন অন্দোলনময় লেখা ফেসবুক জুড়েই ছিল কয়েকদিন। তারা মনে করেছে এই বুঝি প্রণোদনা দিয়ে ফেলছেন প্রধানমন্ত্রী। এই বুঝি সাংবাদিকদের সব প্রণোদনা মালিকরা নিয়ে নিয়েছে। এই বুঝি কতিপয় নেতারা ভাগ বসাতে পারলোনা।

কিন্তু সাংবাদিক নেতারা কী আদৌ বুঝে বলেছেন প্রণোদনা কী? কেনই বা প্রণোদনা দিবে সাংবাদিকদের? সাংবাদিকদেরতো চাকরিরই নিশ্চয়তা নাই। আবার চাকরি থাকলেও বেতনের নিশ্চয়তা নাই। তাহলে প্রণোদনা কেন দিবে? যাদের চাকরি বা বেতনের নিশ্চয়তা নাই তাদের প্রণোদনা দিলে এই অর্থ সরকারকে ফেরত দিবে কীভাবে? কতিপয় সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা মনে করছেন প্রণোদনা মানে ফ্রিতে টাকা দিয়ে দেওয়া। আরে এটা কি ত্রাণ নাকি, যে ফ্রিতে দিয়ে দিবে। অনেকে হয়তো মনে করবেন আমি সরকারের গুনগান গাই। যদি কেউ এমন মনে করেন তাহলে তিনি বোকা ছাড়া আর কিছুই নয়। আসলে আমি আত্মসমালোচনা করছি। নিজেদের কথাই লিখছি। আমরা এই সাংবাদিক প্রজাতিরা যে অনেক সময় না বুঝেই চিল্লাই সেটা লিখছি। আমিও একজন সাংবাদিক নেতা। আমি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের(২০১৫-২০১৭কমিটিতে) সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য ছিলাম। তাই বর্তমান নেতাদের সমালোচনা করতে সহজ হচ্ছে। আমি মনে করি বর্তমান কমিটিতে(দুই অংশেই) অনেক বিজ্ঞ বিজ্ঞ সাংবাদিকরা আছেন। তারা বিষয়টা ভালভাবে অনুধাবন করবেন। তাদের বুঝা উচিত প্রণোদনা কী। অনেকটা চিলে কান নিয়েছে শুনে কানে হাত না দিয়ে চিলের পেছনে পেছনে দৌড়ে ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ে দেখলেন যে আপনার কান আপনার মাথার পাশেই আছে যেখানে থাকার কথা। অর্থাৎ প্রণোদনা প্রণোদনা করে না চিল্লাইয়া প্রণোদনাটা কি সেটা বুঝেন আগে। আমিই বলে নেই। প্রণোদনা মানে হচ্ছে সরকার ভর্তুকীমুলে সহজ শর্তে ঋণ।

এজন্য আমার লেখার শিরোনাম প্রণোদনা নয়, চাকরির নিশ্চয়তা চাই। আমি প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবারও নিবেদন করি আমাদের চাকরির নিশ্চয়তা দিন। সাংবাদিকদের প্রণোদনা নয়, প্রয়োজনে মিডিয়া(পত্রিকা, টিভি, রেডিও, অনলাইন) মালিকদের প্রণোদনা দিন। ইতোমধ্যে মালিকরা অনেক সাংবাদিককে বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠিয়েছেন। মালিকদের একটাই অযুহাত। কার্যত লকডাউনের ফলে সরকারি, বেসরকারি বিজ্ঞাপন নাই। তাই আমার মতে মিডিয়া মালিকদের প্রণোদনা দিন(সহজ শর্তে ভর্তুকি ঋনে)। পাশাপাশি প্রতিটা মিডিয়ায় কতজন কর্মী আছে তাদের তালিকাও জমা নিন। তালিকা অনুযায়ী অন্তত পরবর্তী (এপ্রিল মে, জুন) তিন মাসের বেতন প্রত্যেক কর্মীর মোবাইল একাউন্টে চলে যাবে। যা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কর্মীদের মোবাইল ব্যাংক একাউন্টে মাসিক বেতন প্রেরণ করবে। আর এর যৌথ তদারকি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং তথ্য মন্ত্রনালয়। এতে সরকারেরও লাভ হবে বলে মনে করছি। সরকার জানতে পারবে বিশেষ করে পত্রিকাগুলোতে কতজন কর্মী কাজ করেন। কর্মীদের কি ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়। নাকি, মালিকরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বিজ্ঞাপন নেয়। এতে সরকার খুব সহজেই জরীপ করতে পারবে। যেসব পত্রিকা এই তালিকা জমা দিতে পারবে শুধু তাদেরকেই মিডিয়া লিস্টে অর্থাৎ সরকারি বিজ্ঞাপন তালিকায় রাখতে পারবে। তাই আবারও দাবি করছি প্রণোদনা সাংবাদিকদের নয় মালিকদের প্রণোদনা দিন, একটা নিয়ম ও আইনি কাঠামোর মধ্যে সাংবাদিকদের চাকরি রক্ষা করেন। যাতে যখন তখন সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করতে না পারে। নিয়মিত বেতন ভাতা পরিশোধ করে। সেই আইন পাশ করেন।

পরবর্তী আলোচনায় আসা যাক। আমি আবারও বলি আগে আত্মসমালোচনা করছি। জেনে নিতে হবে কেন সাংবাদিকদের প্রণোদনা দিবে আর কেন দিবে না। কতিপয় সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা বিষদ জেনে নিন।

দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর যখন বড় ছোট মিল কারখানা, ক্ষু্দ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান পাট, গার্মেন্টস, ইন্ডাস্ট্রি ও উৎপানমুখী ও রপ্তানীমুখী বিভিন্নখাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেল। তখন সরকার ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী এই প্রনোদনা ঘোষণা করেন। এর পরে অর্থাৎ ৭২৭৫০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণার পর কৃষকদের জন্য ৫% সুদে ৫০০০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে করে কৃষিখাতে উৎপাদনে কোন ব্যঘাত না হয়। এটাও প্রধানমন্ত্রীর একটা মহতি উদ্যােগ। অনেকে মনে করেন গার্মেন্টস খাতে প্রণোদনার সুদ পরিশোদ করতে হবে ২%। আর কৃষকরা পরিশোধ করতে হবে ৫% । এটা কৃষকদের ওপর চাপিয়ে দেয়া। এখানে বলে রাখি, গার্মেন্টস মালিকরা এই প্রণোদনার কোন অর্থ কাজে লাগাতে পারবেনা। এটা শুধুই কর্মীদের বেতন ভাতা বাবদ। উপরন্তু তাদের ২% সুদ শোধ করতে হবে ব্যবসা করে। সেজন্য তাদের ৬ মাস পর থেকে সুদ দিতে হবে। বিস্তারিত লেখায় আছে। আমি মনে করি প্রণোদনা ঘোষণা নিয়ে নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী প্রশংসার যোগ্য।

এবার আরও বিস্তারিত জেনে নিন, সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন খাতে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার এই প্রণোদনার অর্থ হল সহজ শর্তে সরকার ভর্তুকীমুলে ঋন। এই ঘোষণার মাঝে গার্মেন্টস খাতে ছিল ৫০০০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণ। প্রথমে আলোচনা করি গার্মেন্টস খাতের ঋণ নিয়ে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে গার্মেন্টস খাতের ৫০০০ কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল নিয়ে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। গার্মেন্টস খাতে বাজেট থেকে টাকা না দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ৫০০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে অর্থ মন্ত্রণালয়।

তার বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকদের ঋণ দেবে। শুধু শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্যই ৫,০০০ কোটি টাকার প্রণোদনা পাবে গার্মেন্টস সহ বাংলাদেশের রপ্তানি খাত । অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এমন কিছু গাইডলাইন দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে উৎপাদিত পণ্যের অন্তত ৮০ শতাংশ রপ্তানি হয় এসব প্রতিষ্ঠান এ তহবিল থেকে অর্থ নেওয়ার যোগ্য হবে। রপ্তানি শিল্পের মালিকদের প্রণোদনা পাওয়ার একমাত্র শর্ত হচ্ছে এই টাকা দিয়ে শ্রমিকের বেতন দিতে হবে। সংকট চলাকালীন সময় তথা এপ্রিল, মে ও জুন এই তিন মাসের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা হিসেবে এই তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবে রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান । যা পরে ২% সুদ সহ ফেরত দিতে হবে । বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলো তহবিল থেকে ২ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। এই ঋণ নেওয়ার পর প্রথম ছয় মাস কিস্তি দিতে হবে না, যা গ্রেস পিরিয়ড নামে পরিচিত হবে। ঋণ নেওয়ার দুই বছরের মধ্যে তা পরিশোধ করতে হবে।

৫০০০ কোটি টাকার এই বিশেষ তহবিল বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালনা করবে দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো। এই তহবিল থেকে মালিকরা অনুদান হিসেবে কোনো অর্থ পাবেন না, অর্থ ঋণ হিসেবে নিতে হবে। নির্ধারিত গ্রেস পিরিয়ডসহ লম্বা সময়ে ২ শতাংশ সুদে শিল্পমালিকরা ওই অর্থ পরিশোধ করবেন। বাকী ৬৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা নিয়ে বিষদ আলোচনা। ৬৭,৭৫০ কোটি টাকার চারটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্যাকেজ-১ : ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্পসুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রদানের লক্ষ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণ সুবিধা প্রণয়ন করা হবে।ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনসের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ সংশ্লিষ্ট শিল্প/ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল হতে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ প্রদান করবে। এ ঋণ সুবিধার সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। প্রদত্ত ঋণের সুদের অর্ধেক অর্থাৎ ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ঋণ গ্রহিতা শিল্প/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে এবং অবশিষ্ট ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে প্রদান করবে।

প্যাকেজ-২ : ক্ষুদ্র (কুটির শিল্পসহ) ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্পসুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রদানের লক্ষ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণ সুবিধা প্রণয়ন করা হবে।

তিনি বলেন, ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনসের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল হতে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ প্রদান করবে। এ ঋণ সুবিধার সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। প্রদত্ত ঋণের ৪ শতাংশ সুদ ঋণ গ্রহিতা শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে এবং অবশিষ্ট ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসাবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে প্রদান করবে, বলেন তিনি।

প্যাকেজ-৩ : বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত ইডিএফ (এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড) এর সুবিধা বাড়ানো:ব্যাক টু ব্যাক এলসি- এর আওতায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইডিএফ-এর বর্তমান আকার ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। ফলে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমান অতিরিক্ত ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ইডিএফ তহবিলে যুক্ত হবে। ইডিএফ-এর বর্তমান সুদের হার এলআইবিওআর-লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার্ড রেট + ১ দশমিক ৫ শতাংশ (যা প্রকৃত পক্ষে ২ দশমিক ৭৩%) হতে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে।

প্যাকেজ-৪ : প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফিন্যান্স স্কীম নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন ঋণ সুবিধা চালু করবে। তিনি বলেন, এ ঋণ সুবিধার সুদের হার হবে ৭ শতাংশ। এবার বলেন কতিপয় সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা প্রণোদনা কী সাংবাদিকদের দরকার নাকি মিডিয়া মালিকদের দরকার।

লেখক:
শাখাওয়াত হোসেন মুকু্ল
সিনিয়র ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট
সভাপতি
ইন্ডিপেন্ডেন্ট জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ।
সাবেক কার্য নির্বাহী সদস্য
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব