প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২০, ১৬:৪৮
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করার পর ঐ সহাকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছে ঐ প্রধান শিক্ষক। ফলে বিষয়টি নিয়ে পুরো এলাকা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।জানাগেছে, গত ৫ মার্চ ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১১নং পশ্চিম রামভদ্রপুর হাং বাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হোসনেয়ারা বেগম পার্শ্ববর্তী ২০নং পূর্ব গৈড্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর এ অভিযোগটি দায়ের করা হয়।
অভিযোগের এ ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর পুরো জেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিষয়টি তদন্তের জন্য দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। হোসনেয়ারা বেগমের এক সন্তান মো. আব্দুর রহিম কর্মরত প্রথমিক বিদ্যালয়টিতে পড়াশুনা করছে।
এদিকে অভিযোগের পর থেকেই ঘটনাটি অস্বীকার করে আসছিল ২০নং পূর্ব গৈড্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম। পরে হোসনেয়ারা বেগমের অভিযোগের বিপরীতে তিনি ১০ মার্চ ঐ সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রাথমিকের মহাপরিচালক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর মানহানির অভিযোগ দায়ের করেন।প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ডিভোর্সী হোসনেয়ারা বেগম বিভিন্ন সময় আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
কিন্তু তার এমন প্রস্তাবে বিব্রত হয়ে আমি তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করি। পরে সে আমাকে যে কোন উপায়ে বিয়ে করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। এখন সে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষনের মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। তার মিথ্যা অভিযোগে এখন আমি লোক সমাজে মুখ দেখাতে পারছিনা।কিন্তু ধর্ষনের অভিযোগকারী হোসনেয়ারা বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন কথা বলতে চাই না। দরকার হলে আপনার অফিস থেকে বিস্তারিত জানেন।এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলতে পারবো।