প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৫০
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলার বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে, যার ফলে কমপক্ষে ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোলা রোডে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমও আহত হন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতি সীমিত ছিল, মাত্র একজন সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে ছিলেন। শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডির উদাসীনতাকে এ সংঘর্ষের জন্য দায়ী করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নবনির্মিত বিটাক ভবনের মাঠে মার্কেটিং বিভাগের ১০ ব্যাচের ফয়সাল নামের এক সিনিয়র শিক্ষার্থীর সঙ্গে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। পরে ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ওই সিনিয়রকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন। এই ঘটনার খবর সিনিয়র তার ব্যাচের গ্রুপে জানালে কয়েকজন শিক্ষার্থী মাঠে এসে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে। এতে মার্কেটিং বিভাগের তিন শিক্ষার্থী আহত হন এবং তাদের মধ্যে দুজনকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার পর মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট-১-এর সামনে জড়ো হন। অন্যদিকে, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থীরা নবনির্মিত বিটাক ভবনে অবস্থান নেন। কিছু সময়ের মধ্যে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিটাক ভবনের দিকে গেলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
সাংঘর্ষিক অবস্থার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের সংঘর্ষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মতবিরোধ থেকে উদ্ভূত হয়েছে। তবে প্রশাসনিক উপস্থিতি কম থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। উপাচার্য আহত হলেও তিনি তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার জন্য সকল পক্ষকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।