প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৪০
লিবিয়ায় কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুর দুই মাস ২৫ দিন পর অবশেষে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ধানগড়া ইউনিয়নের বেতুয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলামের মরদেহ তার পরিবারের কাছে পৌঁছেছে। শুক্রবার সকালে একটি লাশবাহী গাড়ি তার মরদেহ গ্রামে নিয়ে আসে এবং সকাল ১১টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পরিবার জানায়, নাজমুল ইসলাম ওই এলাকার ব্যবসায়ী লোকমান হোসেনের ছেলে। প্রায় তিন বছর আগে চার লাখ টাকা খরচ করে জীবিকার তাগিদে লিবিয়ায় যান। সেখানে একটি কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। কিন্তু গত ২০ জুন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনি মারা যান। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় মরদেহ দেশে আনতে দীর্ঘ সময় লাগে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার পর সরকারি উদ্যোগে তার মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হয়। রাত দুইটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ এসে পৌঁছালে পরিবারের সদস্যরা তা গ্রহণ করেন। পরে লাশটি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
নাজমুল ইসলামের পরিবারে স্ত্রী, আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তান, বৃদ্ধ বাবা ও মা রয়েছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে পরিবারটি শোকে ভেঙে পড়ে।
নাজমুলের বোন মোছা. সুমা খাতুন বলেন, মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পুরো পরিবারের মধ্যে শোকের মাতম শুরু হয়। এতদিন লাশ দেশে না পাওয়ায় দুঃখ আরও বেড়ে গিয়েছিল। অবশেষে সরকারি সহায়তায় লাশ দেশে এনে দাফন করতে পেরে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
পরিবার জানায়, নাজমুলের কর্মস্থল বিদেশি কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনও ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আর্থিক অনিশ্চয়তায় পড়েছে পরিবারটি।
স্থানীয়রা বলেন, নাজমুলের মৃত্যু গ্রামে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে। তাকে স্মরণ করে এলাকাবাসী দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রবাসীদের কল্যাণে ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যার সমাধানে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।