শরীয়তপরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:১৮ অপরাহ্ন
শরীয়তপরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষার্থী

ক্লাসে গেলেই ভয় করে, কখন দেয়াল ভেঙে পড়ে। বিমে ফাটল, দেয়ালের পলেস্তরা উঠে গেছে। খসে পড়ার অবস্থায় দেয়ালের ইটের গাঁথুনীও। এদিকে দেয়াল, ভিম গুলোতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। ভেঙে পরতে পারে যে কোনো মুহুর্তে। এমনই ভয়াবহ একটি দৃশ্য দেখা মিলেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৯৭নং দক্ষিন কেবল নগর সিকদার কান্দি  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়টি ঝুকিপূর্ণ ঘোষণার পরেও সেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রীতিমতো ক্লাস করছে আগামী প্রজন্মের উজ্জ্বল ফুলের কলিগুলো। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউপির ৯৭নং দক্ষিন কেবল নগর সিকদার কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ হওয়ার পর ১৯৯৬ সালে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। সেখানে অফিসকক্ষ ও ৩টি শ্রেণী কক্ষ রয়েছে।

শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিতি সম্পন্ন এবং বরাবর ভালো ফলাফল করে আসা বিদ্যালয়টির ১টি জরাজীর্ণ শ্রেণী কক্ষের দরজা, জানালা, দেয়াল ও ছাদ ভেঙে পড়তে পারে- এমন আতঙ্ক বুকে নিয়েই সুন্দর পরিপাটি স্কুল পোশাকে পাঠদান করছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের মোট ১২৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন ১২০জন। জীর্ণশীর্ণ ভবনটির ভিতর বাহির ঘুরে দেখা গেছে, ভবনটির ভিম,পিলার, ছাদ, ওয়ালের বালু, সিমেন্ট ধসে গিয়ে এমন অবস্থা হয়েছে যে, ভেঙ্গে পড়তে পারে যে কোনো মুহুর্তে। ভবনটিকে অধিক ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করেছেন শিক্ষাপ্রকৌশল।

বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সামিয়া বলেন,আমাদের বিদ্যালয় ভাঙ্গা,বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে পানি পরে,আামাদের বিদ্যালয় আসতে আনেক সমস্যা হয়। একটি খাল রয়েছে সেখানে কোন ব্রিজ নাই। শিগগিরই কর্তৃপক্ষ যেন ভবনটি সংস্কার করে সে দাবি জানাই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়টা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, এবং বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে পানি পরে।ক্লাস চলার সময় প্রায়ই ছাদের বিম থেকে খোয়া ঝরে পড়ে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলেও শিক্ষার্থীরা থাকে ভয়ের মধ্যে। বাচ্চারা লেখাপড়া করতে পারে না অনেক সমস্যা হয়।  ডিপিও স্যার  এসে  ক্লাস নিতে নিষেধ করেছে। তাই অন্যথায় ক্লাস করার চেষ্টা করছি।  অতি জরুলি বিদ্যালয় ভবনি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নিয়ামত হোসেন  জানান, শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ১০ টি বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। অনেক বিদ্যালয়ে ভবন থাকা সত্ত্বেও দুটি ক্লাসরুম হওয়ায় আমাদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে দক্ষিণ কেবল নগর শিকদার কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাগদী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়টি।আমরা ওই ভবন গুলোর জন্য ইতিপূর্বে কয়েকবার প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এখনো অনুমতি হয়ে আসেনি, আবারো আমরা ১০ টি ভবনের জন্য আবেদন করছি। ভবনগুলো দ্রুত গতিতে আসে সে জন্য চেষ্টা করছি। দক্ষিণ কেবল নগর সিকদার কান্দি সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয় বিকল্প ভবন করার জন্য একটি টিনসেট ঘর করার জন্য ডিসি স্যারের কাছে আবেদন করেছি।
ইনিউজ ৭১/এম.আর