প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনে কোনও অনিয়ম, অভিযোগ, বিচ্যুতির খবর নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত যেন না আসে। সেটা যেন মাঠেই সমাধান করা হয়। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নূরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচনে কমিশনের ওপর যে দায়িত্বই থাক না কেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সবাই আইন অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা সবাই তাদের সমর্থন দেবো। বাংলাদেশ এবং এশিয়ার প্রেক্ষাপটে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় যারা নির্বাচন পদ্ধতির বাইরে থাকি তাদের। তার মধ্যেই সঠিকভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য আমাদের নিবেদিত থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি চাই না নির্বাচনে কোনও ধরনের অনিয়ম, অভিযোগ, বিচ্যুতি কমিশন পর্যন্ত গড়াক। আমি আশা করবো, আপনারা যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করবেন, কোনও অনিয়ম দেখলে তাৎক্ষণিক মোকাবিলা করবেন এবং কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেবেন। আমাদের পর্যন্ত যদি অভিযোগ আসে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ নির্বাচনে যার যে দায়িত্ব সেটা যদি সঠিকভাবে পালন করেন, তাহলে কমিশনের কাছে কোনও অভিযোগ আসবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমি বারবার বলি, আপনাদের যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করবেন। কোনও বিচ্যুতি যদি থাকে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যায়ে সমাধান হবে। জনগণকে ভোট দেওয়ার পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করে দিতে পারবো যদি আমরা যার যার অবস্থানে থাকি। আমরা চাই প্রত্যেক ভোটার যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন, ভোট দিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারেন। নির্বাচনে প্রার্থী এবং তার এজেন্ট যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।’
এজেন্টকে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করানো ইসির দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে নূরুল হুদা বলেন, ‘কতগুলো বিষয়ে আমাদের কাছে বারবার অভিযোগ আসে। যেমন, এজেন্ট নিয়ে কথা হয়। এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় না, অথবা বের করে দেওয়া হয়। এসব ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এজেন্টকে বাড়ি থেকে এনে প্রবেশ করানোর দায়িত্ব আমরা নিতে পারি না, আপনারাও নিতে পারেন না, নেওয়ার দরকারও নেই। এজেন্ট যখনই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করবেন, তখন দায়িত্ব আমাদের ওপর। এজেন্ট যাতে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা না পান, সেদিকে আমাদের লক্ষ রাখতে হবে। ৫৪ লাখ ভোটারের এই নির্বাচনে কোথাও কোথাও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে, সেগুলো আপনারা সঙ্গে সঙ্গে মোকাবিলা করে সমাধান করবেন। আপনাদের জানার বাইরে যদি কোনোকিছু ঘটে থাকে, তাৎক্ষণিক সেটার ব্যবস্থা নেবেন।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ সভা চলছিল। সভায় উপস্থিত আছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, ইসি সচিব মো. আলমগীর, পুলিশের আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শরীফ কায়কোবাদসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।