প্রকাশ: ৪ জানুয়ারি ২০২০, ২৩:২৩
ভোলার বোরহানউদ্দিনে অসময়ের টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে প্রায় রবি শষ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আলু বীজ অংকুরোদগমের পর পর বৃষ্টি হবার ফলে অধিকাংশ আলু চারাগাছ পঁচন ধরার শঙ্কার মধ্যে। যারা একটু দেড়িতে আলু রোপন করেছেন তা পানির নিচেই পঁচন ধরেছে বীজ আলুর। বিভিন্ন ব্লকের উপসহকারী কৃষি কমকর্তাগণ খেত পরিদর্শন করে জানান বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আলু রক্ষা করা প্রায় অসম্ভব। আলু বীজ রোপনের সময় একসাথে সার প্রয়োগ করতে হয়। পানি পেলে ওই সারই বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ফলে বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া ঋণ ও ধার-দেনায় সর্বশান্ত হয়ে পড়ছে আলু চাষীরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ ও সহযোগীতা করতে উপজেলায় কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের সাথে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পেলে কিছু ফসলের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তবে রোববার পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকলে বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যাবে।
সরেজমিনে শনিবার সকাল ১১ টায় উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের তিন নাম্বার ওয়ার্ডের আলু চাষী রেশাদ আলী জানান, তিনি ধার-দেনা করে প্রায় দুই একর জমিতে আলু রোপন করেছেন। আলু খেত এখন পানিতে নিমজ্জিত। তার পার্শ্ববর্তী হেলালউদ্দিন তিন একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। একই অবস্থা ওই এলাকার জাহাঙ্গির আলম, মো. এছহাক মিয়া,হোসেন খন্দকার,হোসেন মোল্লা, দেলোয়ার মিয়া, আ.মালেক, নকিব ও শহিদ রাড়ির। এসময় অনেককে পানি নিষ্কাশনের ব্যর্থ চেষ্টা করতে দেখা যায়। দুপুর ১ টায় আবার বৃষ্টি শুরু হয়।
কুতুবা ইউনিয়নের ছয় নাম্বার ওয়ার্ডের দুই ভাই আবুল হোসেন মোল্লা ও নিরব মোল্লা পাঁচ একর জমিতে আলু রোপন করেছেন। পাশ্ববর্তী মাহবুব আলীর অবস্থাও একই রকম। তারা আরো জানান, উপজেলার মোট আলু উৎপাদনের ৭০ শতাংশ ওই দুই এলাকায় উৎপন্ন হয়। বড়মানিকা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ও কুতুবা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা মিজানুর রহমান জানান, এ অবস্থা থেকে কৃষকদের ঘুরে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব।
ইনিউজ ৭১/এম.আর