কসবায় ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহতদের বাড়ি শোকের মাতম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৪ই নভেম্বর ২০১৯ ০৩:১৪ অপরাহ্ন
কসবায় ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহতদের বাড়ি শোকের মাতম

ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবায় রেল দূর্ঘটনায় নিহত শরীয়তপুরের তিন ব্যাক্তির বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। নিহতরা হলেন, ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরশিনগর ইউনিয়নের মাদবর কান্দির বাসিন্দা অলু হাওলাদারের মেয়ে কাকলী বেগম (২২), পাশর্বর্তী জালালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কাকলী বেগমের মামী শাশুরী আমাতন বেগম (৪৫),আমাতন বেগমের মেয়ে মরিয়ম (৪)। এছাড়া ঘটনায় কাকলী বেগমের মেয়ে শিশু মাহিমা (৩), শাশুরী রাহিমা বেগম (৪৫), মামা শশুর জাহাঙ্গীর মিয়া (৫০) গুরুতর আহত অবস্থায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে কাকলী বেগমের মেয়ে মাহিমা রাজধানীর সিএমএইচ এ ভর্তি রয়েছে। তার যাবতীয় চিকিৎসাভার বহনের দায়িত্ব স্থানীয় সাংসদ পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম নিয়েছেন বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।

কাকলীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত বুধবার সিলেটের হযরত শাহাজালাল (র) এর মাজার জিয়ারতের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল কাকলী, তার মেয়ে, শাশুরী, মামা শশুর, মামী শাশুরী ও মামা শশুরের মেয়ে মরিয়ম। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে তারা বাড়ি ফিরতে না পারায় সিলেটে তাদের এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল । সেখানে ৪ দিন থাকার পর সোমবার রাতে ট্রেনে উঠে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে তারা। তাদের বহনকারী ট্রেনটি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রেনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এবং বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনা স্থলেই মারা যায় কাকলী বেগম, তার মামী শাশুরী আমাতন বেগম ও আমাতন বেগমের মেয়ের মরিয়ম।

কাকলী বেগমের বড় ভাই ফরিদ মুন্সি বলেন, দূর্ঘটনার পর কাকলীর শশুরের ফোনের মাধ্যমে কারা যেন ফোন করে বিষয়টি আমাদের বাড়িতে জানায়। পরে আমি ঢাকা থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় সেখানে গিয়ে উপস্থিত হই। সেখানকার স্থানীয় বামেক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে আমি কাকলী ও অন্যান্যদের লাশ শনাক্ত করি। এ সময় কাকলী সাথে থাকা আহত স্বজনদের ব্রাক্ষণ বাড়িয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদেরকে ঢাকা পাঠানো হয়। পরে বুধবার সকালে কাকলী ও অন্যান্যদের লাশ গ্রামের বাড়িতে এনে আমরা দাফন করি।বিষয়টি নিশ্চিত করে ভেগদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাফিস বলেন, ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। কাকলীর পরিবার যদি হতদরিদ্র হয় তবে উপজেলা প্রশাসন অবশ্যই তাদের পাশে থাকবে।