
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৫৬

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রায় চার ঘন্টার তান্ডবে তার ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, গাছপালা, পুকুর আর ফসলের মাঠে। রবিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে এখানে আঘাত হানে বুলবুল। প্রবল বৃষ্টি আর ঝড়ের তান্ডব চলে প্রায় চার তিন ঘণ্টা ধরে। রাস্তাঘাটে গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল বন্ধ ছিল।
সোমবার পর্যন্ত সড়কের উপর গাছ সরানোর কাছ চলছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ও তার ছিঁড়ে গেছে। এর ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক। গাছ চাপা পড়ে আহত হয়েছেন ১০জন। এ ছাড়া বুলবুলের প্রভাবে সন্ধ্যা ও কচাঁ নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ায় ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে জোয়ারের পানি ফসলের মাঠ ও বসতবাড়িতে ঢুকে পড়ে। জলোচ্ছাসে কয়েক শ পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আজিম শরীফ ও মৎস্য কর্মকর্তা ফরি ভুষন পাল জানান, কৃষি ও মৎস্য সেক্টরের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ চলছে।

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. খালেদা খাতুন রেখা বলেন, ঝড়ে উপজেলার সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে প্রসাশনের গঠিত টিম মাঠে নেমেছে। পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় ক্ষতি বহু অংশে কম হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে আশ্রিতদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা শুধু মাত্র উপজেলা সদরের একাংশ সচল হয়েছে। বাকী সব জায়গায় সচল হতে কমপক্ষে ১০-১৫ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানান কাউখালী পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ শামীম হোসেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব