পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পালিত হয়েছে সার্বজনীন ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব। সোমবার রাতে অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। মঙ্গলবার প্রতুষ্যে পূর্নিমা তিথিতে মঙ্গলরতি, প্রভাত কীর্তন ও পুন্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষে হয়েছে এ উৎসব।
প্রায় দেড়’শ বছর যাবত শ্রী কৃষ্ণের রাস লীলার স্বরনে কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাসমেলার এ উৎসব। রাসমেলার রয়েছে ইতিহাস ও বর্নিল সংস্কৃতির সুবিশাল শিল্পকর্ম। কথিত আছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পূন্যতিথিতে রাধার সাথে প্রেমলীলায় মত্ত হয়ে ওঠেন। রাধা সখীদের নিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন জয় করে প্রেমের সিংহাসনে আসীন হন। পূর্নিমার রাত্রিতে মিলন শেষে গঙ্গাজলে স্নান করে পূন্য হন। সেই থেকে রাধা-কৃষ্ণের ভক্তরা কুয়াকাটায় গঙ্গাজলে পূণ্যস্নান শুরু করেন। এরই ধারাবহিকতায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস পুজা ও পূণ্যস্নান উপলক্ষ্যে সাগরকন্যা কুয়াকাটার শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমে ভীড় জমিয়েছেন হাজারো পূণ্যার্থী। পাপ মুক্তির আশায় রাতভর পুজার্চনা, হরিনাম সংকৃর্ত্তন সহ বিভিন্ন ধর্মাচরন শেষে এই তিথির ঊষা লগ্নে ধুপ, দ্বীপ প্রজ্জ্বলন, ধান-দুর্বা ও বেল পাতা সমুদ্র জলে অর্পন করে গঙ্গাস্নান করে ভগবানের যুগল রুপ দর্শন করেন ভক্তরা। এছাড়া পিতৃপুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় এখানে তর্পন করেন অনেকে। তবে ঘূর্নিঝড় বুলবুলের প্রভাবে এবছর উৎসব পালিত হয়েছে অনেকটা অনাড়ম্বর ভাবে।
কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের পুরোহিত শিশির মহারাজ বলেন, মহাবতার ভগবান শ্রী কৃষ্ণের সকল লীলার শ্রেষ্ঠ লীলা রাস লীলা। গঙ্গাস্নানের মাধ্যমে পাপ মোচন ও পারমার্থিক কল্যানের জন্য ভক্তরা কুয়াকাটায় এ উৎসবে সমাবেত হন।
কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহাম্মদ আলী, উৎসবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।