বাংলাদেশ ৩০০ টন পিয়াজ আমাদিন করছে পাকিস্তান থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ১১ই নভেম্বর ২০১৯ ০১:১০ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ  ৩০০ টন পিয়াজ আমাদিন করছে পাকিস্তান থেকে

দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর পাকিস্তান থেকে ৩শ' টনের বেশি পিয়াজ আমদানি করছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের করাচির রোশান এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে বাংলাদেশের তাশো এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছে। পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল' এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির আদেশ পেয়েছে বলে পাকিস্তানের বাণিজ্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (টিডিএপি) এক কর্মকতা জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, অন্তত ১২টি কন্টেইনারে করে পিয়াজ বাংলাদেশে পাঠানো হবে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিজদের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ প্রতি বছরে ৭ লাখ থেকে ১১ লাখ টন পিয়াজ আমদানি করে থাকে। যার ৭৫ শতাংশই আমদানি করে ভারত থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ভারতে বন্যার কারণে পিয়াজের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় তারা বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।এতে করে বাংলাদেশের বাজারে পিয়াজের দাম বেড়ে গেছে। ফলে পিয়াজ আমদানির বিকল্প দেশ খুঁজছে তারা। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে পিয়াজের আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে।অল পাকিস্তান ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবলস এক্সপোটার্স অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ওয়াহিদ আহমেদ বলেন, প্রতি টন পিয়াজের রপ্তানি মূল্য প্রায় ৬শ’ ডলার এবং প্রতি কন্টেইনারে প্রায় ২৮ টন পিয়াজ ধরে। 

ভারতের পিয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ফলে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে পাকিস্তানের রপ্তানিকারকরাও। পাকিস্তানের বাণিজ্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (টিডিএপি) এক কর্মকতা বলেন, পিয়াজ ছাড়াও বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে খেজুর, গ্রে ফেব্রিক এবং সুতা আমদানির চিন্তা করছে।সরকারি দপ্তরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্য থমকে ছিল। ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাই-কমিশনের বাণিজ্য শাখার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দু'দেশের মধ্যে যৌথ অর্থনৈতিক সভা শেষবারের মতো হয়েছিল ২০০৫ সালে।