
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০১৯, ২:১১

মো. আব্দুল খালেক একসময় ছিলেন বিএনপি নেতা, তিনি ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করে হয়েছিলেন মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। নির্বাচিত হওয়ার পর পরই সবকিছুই যেন যাদুর কাঠির ছোঁয়ায় পরিবর্তন ঘটে গেছে মো. আব্দুল খালেকের। নিজের এলাকার পাশাপাশি কক্সবাজারে গড়ে তুলেছেন রাজত্ব। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারিত্ব, আর মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত করেছেন তার সাম্রাজ্য। নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন একাধিক ব্যবসা সিন্ডিকেট। গড়েছেন কোটি টাকার সম্পদ।
এ দিকে নদী দখলের অভিযোগ মাথায় নিয়েই আওয়ামী লীগ থেকে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণাও দিয়েছেন আব্দুল খালেক। যদিও নদী দখলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের সব ধরনের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার নির্দেশনা রয়েছে হাইকোর্টের এক রায়ে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আব্দুল খালেক বলেন, যে জমিতে পাকা ভবন, টিনশেড ঘর নির্মাণ ও পুকুর খনন করা হয়েছে, এটি দখল করা নয়, ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে একটি মামলাও রয়েছে।
সম্ভাব্য জমি বিআইডব্লিউটিএকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে যে স্থান ঘিরে নদীবন্দর হওয়ার কথা, সে স্থানে বেশকিছু দখলদার রয়েছে। যে কারণে জমি বুঝিয়ে দিতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হলে সংকটে পড়বে নদী। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কক্সবাজার জেলা কমিটির তালিকায় এখনো নাম আছে আব্দুল খালেকের। যদিও সময়ের ব্যবধানে তিনি আজ মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য। যিনি খালেক চেয়ারম্যান নামে সুপরিচিত।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব