
প্রকাশ: ৮ নভেম্বর ২০১৯, ৪:১৮

ঘুর্ণিঝড় 'বুলবুল' সুন্দর বনের দিকে ধেয়ে আসছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংঙ্খা করা হচ্ছে। শুক্রবারের মধ্য রাতেই গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘুর্ণি ঝড়ে পরিনহত হয়েছে বুলবুল। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭নং বিপদ সংকেতের কথা জানিয়েছে। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে এই ঝড়টি। এব্যাপারে কালিগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) এর নির্দেশে বিভিন্ন স্থানে সতর্ক হওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। তবে ঘুর্ণিঝড় 'বুলবুল' মহা প্লাবন ঘুর্ণিঝড় সিডরের মত ভয়ঙ্কর হবে কি না তা নিয়ে সংসয় রয়েছে। ঘুর্ণি ঝড়ের আগাম প্রস্তুতি বিষয়ে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে ৮ নভেম্বর শুক্রবার বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সম্মেলন কক্ষে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় কালিগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে সাইক্লোন সেন্টার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত রাখা, এছাড়া শুকনা খাবার, মেডিকেল টিম, এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম প্রস্তুত সহ শুক্রবার জুম্মাবাদ বিভিন্ন মসজিদে ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাইকে প্রচারের মাধ্যমে ঘুর্ণিঝড় বিষয়ে জনগণ কে সচেতন করা হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেলের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেনের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হুসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, পি,আই,ও অফিসের উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, কালিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক কাজী আল মামুন, নবযাত্রা ফিল্ড অফিস ম্যানেজার রমেশ চন্দ্র সরকার, ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেন, মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম বাটুল, চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান আকলিমা খাতুন লাকী, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন, নাজিমগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফিরোজ কবির কাজল, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন, নলতা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, কুশুলিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর খায়রুল আলম, ভাড়াশিমলা প্যানেল চেয়ারম্যান, কালিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সভায় ঘুর্ণিঝড় বিষয়ে আগাম বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়।
কালিগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১৮টি বহুমুখী ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্র গুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ঐ প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির আশ্রয় কেন্দ্র গুলি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

পাশাপাশি মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিস, শুকনা খাবার সহ নদী ও দূর্যোগ প্রবন এলাকায় জনসাধারণ কে নিরাপদ স্থানে থাকার বিষয়ে মাইকিং এর মাধ্যমে জানানোর সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। কালিগঞ্জে ১২টি ইউনিয়নে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে চাম্পাফুল ইউনিয়নে ৩টি, কুশুলিয়া ইউনিয়নে ১টি, নলতা ইউনিয়নে ৩টি, তারালী ইউনিয়নে ৪টি, ভাড়াশিমলা ইউনিয়নে ২টি, মথুরেশপুর ইউনিয়নে ২টি, ধলবাড়িয়া, মৌতলা ও কষ্ণনগরে ইউনিয়নে ১টি করে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা প্র্রশাসন ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব