
প্রকাশ: ৩ নভেম্বর ২০১৯, ২০:১২

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন মেয়াদে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শতাধিক নেতাকে বসিয়েছেন মন্ত্রীর আসনে। আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতার মধ্যে সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীরা বিদেশে টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাম্প্রতিক শুদ্ধি অভিযানে সবার ব্যাপারেই তথ্য অনুসন্ধান করা হচ্ছে এবং তথ্য অনুসন্ধানে একজনও বাদ যাচ্ছেননা বলে জানা যায়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই আইনপ্রয়োগাকারী সংস্থার কয়েকজন উর্ধতন কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এই তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে তদন্তে উঠে এসেছে অন্তত ৩৩ জন সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর নাম যারা বিদেশে সম্পদ পাচার করছেন এবং বিভিন্ন দেশে তাদের বাড়ি রয়েছে। ৩৩ জন মন্ত্রীর মধ্যে ৯ জন ২০০৯-১৪ মেয়াদের মন্ত্রী ছিলেন, ১৭ জন ২০১৪-১০১৮ মেয়াদে মন্ত্রী ছিলেন এবং বাকি মন্ত্রীরা বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, ৩৩ জন মন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করছেন এমন প্রমান পাওয়া গেছে আরও অন্তত ৫৭ জন এমপির।
আরোও জানা যায়, সেই সমস্ত দেশে তাদের সম্পদ রয়েছে। রয়েছে বাড়ি,ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং টাকা জমা রাখা হয়েছে বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, যে ৩৩জন সাবেক এবং বর্তমান মন্ত্রী বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের মধ্যে ১৪ জনের বাড়ি আছে যুক্তরাষ্ট্রে, ৬জন বাড়ি করেছেন কানাডায় ও সিঙ্গাপুরে বাড়ি করেছেন ৪জন এবং বাকিরা সেকেন্ড হোম গড়েছেন মালোশিয়ায়।
এই সম্পদ তারা বৈধ না অবৈধ পথে গড়েছেন সে ব্যাপারে আরো তদন্ত করছে গোয়েন্দাসংস্থা। তদন্ত শেষ হলে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে যাদের বিরুদ্ধে এই সমস্ত অভিযোগগুলো উত্তাপিত হয়েছে, সেই সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগামী কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে বড় ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে একাদিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর