কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় বেদম মার, হাসপাতালে ভর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ২৮শে অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
 কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় বেদম মার, হাসপাতালে ভর্তি

নেছারাবাদে সময়মত এনজিওর কিস্তির টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শিবু শীল (৪২) নামে এক ঋণ গ্রহীতাকে ধরে এনে বেদম মারপিট করেছে এনজিওর কর্মীরা। সোমবার দুপুরে উপজেলা রোডে অবস্থিত স্থানীয় এনজিও ‘সেবক হেলথ এন্ড এডুকেশন সোসাইটি’ অফিসে শিবু শীলকে ধরে এনে ফ্লোরে ফেলে মারধর করা হয়। ম্যানেজার আলী আকবার, সজল, রাসেল আকন সহ চার পাঁচজনে অমানবিকভাবে মারধর করে। তাদের মার পিটে শিবু শীলের নাক ফেটে রক্ত ঝড়তে থাকে। একপর্যায়ে সংস্থাটির কর্মী সজল ও ম্যানেজার আলী  আকবরের অব্যাহত মারধরে শিবু শীল সেখানেই পায়খানা প্রসাব করে দেয়। এসময় শিবুর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। এ রিপোর্ট লেখা আগ পর্যন্ত শিবু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎধীন রয়েছে। ওই ঋন গ্রহীতা শিবু শীল উপজেলার জলাবাড়ী গ্রামের হারাদন শীলের ছেলে।

হতদরিদ্র ঋণ গ্রহীতা শিবু শীল অভিযোগ করেন, তিনি কয়েক মাস আগে সেবক হেলথ এন্ড এডুকেশন সোসাইটি নামক এনজিও থেকে ২৫হাজার টাকা লোন নেন। তাদের চড়া সুধের দেওয়া ঋণের নিয়মিত কিস্তি দিয়ে যাচ্ছিলেন। হটাৎ অসুস্থতার কারনে আর্থিক অনটনে পড়ে তিনি সময়মত কিস্তি দিতে পারছিলেন না। এতে ওই এনজিও কর্মীরা সোমবার তাকে রাস্তা থেকে ধরে এনে অফিসের মধ্য ফেলে ম্যানেজার আলী আকবার, সজল, রাসেল আকন সহ চার পাঁচজনে তাকে এলোপাথাড়িভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। তাদের মারের আঘাতে তিনি অফিসের ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে ম্যানেজার আলী আকবার ও সজল জুতো পরিহিত অবস্থায় পা দিয়ে গলা ও মুখমন্ডল চেপে ধরে নির্যাতন করে।

এ খবর জানার পর ওই অফিসে গিয়ে ঘটনা জানতে চাইলে আলী আকবর কিছু বলতে রাজি হয়নি। এসময় শিবু শীল আহত অবস্থায় পাশের একটি রুমে পড়ে ছিলেন। এ সময় এনজিওটির পরিচালক কৃষ্ণ দাসকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তাকে ফোন করলে তিনি বলেন, ঋন গ্রহীতা শিবুর কাছে তাদের টাকা পাওনা রয়েছে। টাকা আদায়ের জন্য কাউকে মারধরের নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে কৃষ্ণ দাস বলেন, আমি দূরে আছি। অফিসে এসে বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেব। 

ইনিউজ ৭১/এম.আর