জাতীয় শ্রমিকলীগের সৃজনশীল রাজনীতির অগ্রসৈনিক লায়ন ইমাম হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সী মেহেদী হাসান
প্রকাশিত: শনিবার ১৯শে অক্টোবর ২০১৯ ০৩:০৮ অপরাহ্ন
জাতীয় শ্রমিকলীগের সৃজনশীল রাজনীতির অগ্রসৈনিক লায়ন ইমাম হোসেন

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় কর্মী বান্ধব নেতৃত্ব আর সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সৃজনশীল রাজনীতিবিদ হিসাবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন লায়ন মো: ইমাম হোসেন। জাতীয় শ্রমিকলীগের আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন নেতা কর্মীদের আস্থা অর্জনের পাশাপাশি এ অঞ্চলে জাতীয় শ্রমিকলীগকে সুসংগঠিত করেছেন। তার দক্ষতা আর কঠোর পরিশ্রমের কারনে আশুলিয়ায় জাতীয় শ্রমিকলীগ এখন অত্যান্ত সুসংগঠিত এবং প্রশংসনীয় সংগঠন। সাভার আশুলিয়ার আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছও তিনি অত্যান্ত প্রিয় একজন মানুষ। সদা হাস্যেজ্জল, পরোপকারী এ নেতা নিজ তহবিল থেকে ব্যাপক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গরীব দুঃখী ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য, এ কারনে তাদের কাছে লায়ন ইমাম হয়েছেন গরীবের বন্ধু।

তিনি নিঃস্বার্থভাবে সংগঠনের জন্য এবং নেতাকর্মীদের জন্য কাজ করে চলেছেন। এজন্য তিনি নেতাকর্মী ও শ্রমিক জনতার প্রাণের মানুষ হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় লায়ন মো: ইমাম হোসেনকে জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দেখতে চাই শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার শ্রমিক জনতা। জাতীয় শ্রমিকলীগের নেতা কর্মীরা বলেন, ইমাম ভাই বন্ধু সুলভ আচরণের কারণে অল্প সময়ের মধ্যে মানুষকে আপন করে নিতে পারে। তার মতো একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক পেয়েছি, এজন্য আমরা গর্বিত।  ইমাম ভাই কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দ্বায়িত্ব পেলে সারাদেশে জাতীয় শ্রমিকলীগ সাংগঠনিকভাবে আরো বিস্তৃত হবে। 

জাতীয় শ্রমিকলীগের আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইমাম ভাইয়ের মতো দায়িত্বশীল ও আস্থাভাজন নেতৃত্ব আমি খুব কম দেখেছি। তার ভিতর সৃজনশীল রাজনৈতিক নেতৃত্বের সকল গুণাবলি বিদ্যমান রয়েছে। শ্রমিক ও নির্যাতিত নিপিড়ীত মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি আপোষহীন। যা আগামী প্রজন্মের কাছে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং শিক্ষনীয়। আমরা তাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে দেখতে চায়। আগামী ৯ নভেম্বর জাতীয় শ্রমিকলীগের কাউন্সিলেে আমরা ইমাম ভাইকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে পেতে চায়। 

লায়ন মোঃ ইমাম হোসেন ০৫/০১/১৯৮৩ ইং তারিখে নোয়াখালী জেলার ১নং আমানুল্লাপুর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের আব্দুল মোতালেব হোসেনর ঘর আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তার মেঝো চাচা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সৈনিক লুৎফর রহমান ছিলেন আদমজী জুট মিলের একজন শ্রমিক নেতা। তিনি প্রায় বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা ও কথা বলতেন। তার চাচার মুখে বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং গুণের কথা শুনতে শুনতে তিনি বঙ্গবন্ধুর  আদর্শের প্রতি এবং আওয়ামীলীগ রাজনীতির প্রতি  আসক্ত হয়ে উঠেন। ১৯৯৬ সালে ধনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ছাত্রলীগ রাজনীতির মাধ্যমে তার রাজনৈতিক সূচনা হয়। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত  ধনিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি ছিলেন। 

ইমাম হোসেন একটি ইলেকট্রনিক্স কোম্পানির চাকুরীর সুবাদে সাভার আশুলিয়া এলাকায় আসেন। তার প্রিয় শখ- পথ ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করা এবং মানুষের কল্যানে নিজেকে নিবেদিত রাখা। প্রিয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,  সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম,  ওবায়দুল কাদের। পেশা-বর্তমানে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ম্যান্টিনেন্স সাব ঠিকাদার। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা - রাজনীতির পাশাপাশি শ্রমিক জনতার প্রত্যাশা পুরণ, সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশু ও শ্রমিক ভাইবোনদের জীবনমান উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত রাখতে চাই। 

লায়ন মোঃ ইমাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আশুলিয়ায় পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কারনে তৈরি হয়েছে ব্যাপক কর্মসংস্থানের, আর সে কারনে এখানে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল জনসমুদ্রের। আর এ জনসমুদ্রের বড় অংশই হচ্ছে শ্রমিক জনতা।আর তাই আমার মনে হয়েছে শ্রমিক জনতার পাশে থাকাটা আমার জরুরি। আমি যেহেতু শুরু থেকেই পথ শিশু এবং শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করছি, সে কারনেই ২০০৭ সাল থেকে আমি আশুলিয়ায় শ্রমিকলীগ রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করি। আমি চেষ্টা করেছি সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে শ্রমিক দুঃখ দুর্দশা লাঘবে তাদের আস্থা অর্জন করতে এবং আওয়ামীলীগের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে। কতটুকু পেরেছি তা আমার নেতাকর্মী এবং শ্রমিক জনতাগন ভালো বলতে পারবে। 

আমি পদ পদবীর লোভ নিয়ে রাজনীতিতে আসি নাই, দলকে ভালোবেসে নিজের সাধ্যমতো দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করছি। আমাকে দল থেকে যদি জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে আমি দলীয় সকল কর্মসূচি ও সাংগঠনিক  কার্যক্রম বৃদ্ধিতে অবদান রাখার পাশাপাশি মাদার অব হিউম্যানিটি, ভ্যাকসিন হিরো, সফল রাষ্ট্র নায়ক, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল গড়ার লক্ষ্যে যে ভিশন বাস্তবায়িত হচ্ছে তার সাথে সহায়ক ভূমিকা পালনের সর্বাত্মক চেষ্টায় থাকবো। পাশাপাশি দেশব্যাপী সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শ্রমিক ভাইদের জন্য কল্যানমূলক কাজে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবো।  
ইনিউজ ৭১/এম.আর