সরাইলে বেরেই চলছে ফেসবুকের ফেক আইডির মাধ্যমে অপপ্রচার

সূত্র জানায়, উপজেলার সাড়ে পাঁচ লাখের অধিক সংখ্যক মানুষের মধ্যে প্রায় তিন- সাড়ে তিন লাখ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী আছে। তাদের মাঝে বয়সে তরুণ প্রায় দুই লাখ গ্রাহক স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে। অনেকের বৈধ আইডি রয়েছে। পাশাপাশি অনেকের রয়েছে ফেক আইডিও। এ ফেক আইডি খুলে ফেসবুকে বিচরণ করছে। বেশিরভাগ ভূয়া আইডি প্রতারণা ও অপপ্রচারের উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হচ্ছে। ভূয়া আইডিধারীদের টার্গেট এখন দেশের ধনী শ্রেণি, সমাজপতিরা। এ দিকে বিভিন্ন  নাম ব্যবহার করে অনেকের মানহানিসহ নানাভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় বিভিন্ন লোকজন থানায় অভিযোগ করেও এসব ফেক আইডির মিস্ত্রীদের কোনো সাজা দিতে পারে নি প্রশাসন।

এসব ভূয়া ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞজনরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তরুণীদেরকেও অনেক সম্মানী লোকদেরকে বিভিন্ন নামের ভূয়া আইডি থেকে শারীরিক সম্পর্ক ও মানহানি মোবাইলের মাধ্যমে করে থাকে।আর এসব ঘটনায় অনেক  আত্মহত্যার ঘটনা বেশি হচ্ছে। এ ধরনের নানা অপকর্ম হচ্ছে ভূয়া আইডির মাধ্যমে।ব্ল্যাকমেইলিং এছাড়া চাঁদাবাজিসহ নানাভাবে অনেককে জিম্মি করা হচ্ছে। পরকীয়া সম্পর্কের ঘটনা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে।

এতে পারিবারিক জীবনে নেমে আসছে বিপর্যয় ফেসবুকে ভূয়া আইডি ব্যবহার করে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। পাশাপাশি ধর্মীয় উসকানি, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করাসহ নাশকতামূলক নানা কাজে সাইবার অপরাধ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অনেকে অভিমত প্রকাশ করে এমন করে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ সমস্ত অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এ উপজেলার সমাজ সেবক ব্যক্তিবর্গরা। তাঁরা আরো জানান,বিটিআরসি কর্তৃপক্ষের উচিত অনতিবিলম্বে এই ভূয়া আইডিধারীদের চিহিৃত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।