শরীয়তপুরে মা ইলিশ বহনের অপরাধে তিন পুলিশ বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৭ই অক্টোবর ২০১৯ ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
শরীয়তপুরে মা ইলিশ বহনের অপরাধে তিন পুলিশ বরখাস্ত

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভিযান চলাকালীন সময় মা ইলিশ বহনের দায়ে শরীয়তপুরে তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ১৬ অক্টোবর রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ লাইন্সের অফিসে বসে পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, পিপিএম এই বরখাস্ত আদেশে স্বাক্ষর করেন। বরখাস্ত আদেশ প্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সের মোটরযান বিভাগে দায়িত্বরত এস আই মন্টু মিয়া, কনেস্টবল হৃদয় ও সনজিত।

জানাযায়, শরীয়তপুর-১ আসনের সাংসদের নির্দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সাধারণ মানুষ প্রশাসনের পাশাপাশি মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে অংশগ্রহন করে। অভিযান চলাকালীন সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শরীয়তপুরের বিভন্ন সড়ক দিয়ে মা ইলিশ বহনের মহোৎসব চলছে শুনে নেতকর্মী ও সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সড়কে অবস্থান করে। বুধবার রাত ১১টার পর থেকে পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ড সড়ক দিয়ে পুলিশ সদস্যরা মা ইলিশ বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন নেত-কর্মী ও সাধারণ মানুষের হাতে তারা ধরা পড়ে। এই সংবাদ পেয়ে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুর রহমান শেখ মা ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন এতিম খানায় প্রদান করেন। তখন পুলিশ লাইন্সের আবাসিক পুলিশ পরিদর্শক অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের জিম্মায় গ্রহন করে পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যায়।

পুলিশ লাইন্সে বসেই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বরখাস্ত আদেশে স্বাক্ষর করেন পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, পিপিএম। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিআইও-১ আজাহারুল ইসলাম ও পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেই বরখাস্ত হওয়া এসআই মন্টু মিয়ার কাছ থেকে টিআই জামাল মীরকে মোটরযান শাখার দায়িত্ব বুঝে নিতে নির্দেশ করেন পুলিশ সুপার।

পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, আমি পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ববান হতে অনেক বুঝিয়েছি। মা ইলিশ রক্ষা করা জাতীয় ইস্যু। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সকল নেতাকর্মীগণ ও সাধারণ মানুষ সচেতন হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা আমার কথা বুঝতে পারেনি। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছে তাদের পুলিশে চাকুরি করার যোগ্যতা নাই। আজ যারা ইলিশ বহন করেছে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে। তারা যেন ৬০ কার্য দিবসের মধ্যে বাড়ি চলে যেতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হবে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর