আবরারের রুমমেট আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১০ই অক্টোবর ২০১৯ ০৫:২৭ অপরাহ্ন
আবরারের রুমমেট আটক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে এবার তার রুমমেট মো. মিজানুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। মিজান বুয়েটের ওয়াটার রির্সোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আবরারের বাবার করা হত্যা মামলায় ১৯ জনের মধ্যে মিজানের নাম নেই বলে মাসুদুর রহমান জানান।

মাসুদুর রহমান জানান, আবরার  হত্যাকাণ্ডে এ নিয়ে মোট ১৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ ছিলেন শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র। ওই কক্ষে তার সঙ্গে থাকতেন ১৬তম ব্যাচের মিজান, ১৭তম ব্যাচের রাফি এবং যন্ত্র প্রকৌশলের তানভির আহমেদ অন্তিম।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৩ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। অভিযোগের সত্যতা উদ্ঘাটনে গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে বলে জানিয়েছে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর