
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ৩:২৬

ডুবোজাহাজ রাখতে দেশটির সহায়তায় কক্সবাজার জেলায় সামরিক ডুবোজাহাজ ঘাঁটি নির্মাণ করছে বাংলাদেশ। এই ঘাঁটি নির্মাণ করতে ব্যয় হবে এক হাজার কোটি টাকার বেশি। এটিই হবে দেশের প্রথম সামরিক ডুবোজাহাজ ঘাঁটি। বিষয়টি বেনারের কাছে নিশ্চিত করেছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান। এই ঘাঁটি নির্মাণের ব্যাপারে ভারতীয় গণমাধ্যমের অভিযোগ হচ্ছে, এর ফলে বঙ্গোপসাগরে ভারতকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে চীন। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই সামরিক ঘাঁটি নিয়ে ভারতের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ, ডুবোজাহাজ দুটি প্রথাগত ধরনের। ওই দুটি ডুবোজাহাজ রাখতে ও পরিচালনা করতে ঘাঁটি প্রয়োজন। এখানে চীনা সামরিক ডুবোজাহাজ নোঙর করবে না।
ভারতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়
চীনা সহায়তায় সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণের মাধ্যমে ভারতকে ঘিরে ফেলতে চীনকে সাহায্য করছে বাংলাদেশ— ভারতীয় গণমাধ্যমের এই অভিযোগ খণ্ডন করে ফারুক খান বলেন, “ভারত অথবা চীন কোনো দেশের দিকেই বাংলাদেশ ঝুঁকে পড়েনি। চীন ও ভারত দুই দেশের সাথেই আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই বাংলাদেশ চীনের সাথে যুক্ত হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, অথবা ভারতের সাথে যুক্ত হয়ে চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এমন কথা সঠিক নয়।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশে ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশী ফায়েজ আহমাদ বেনারকে বলেন, “বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য ভারতকে দরকার। আর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য চীনকে দরকার।” তিনি বলেন, “ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। ভৌগোলিক কারণে আমাদের নিরাপত্তার জন্য ভারতকে প্রয়োজন। আবার ভারতের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশকে দরকার। সুতরাং, বাংলাদেশ ভারতের জন্য কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে না।”
মুনশি ফায়েজ বলেন, “আমি মনে করি, ভারতের নীতি নির্ধারকেরা খুব ভালো করে জানেন যে, আমরা তাঁদের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করব না বা করতে পারব না। সুতরাং, এটি নিয়ে কারও মাথাব্যাথার কোনো কারণ নেই।” এদিকে চীন থেকে কেনা সাবমেরিন দুটো নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও সাগরের নিচে সম্পদ অনুসন্ধানের কাজে ব্যবহার করা হবে বলে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বেনারকে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব