
প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:১৫

রাজধানীরা উত্তরায় লাইফওয়ে নামে এক কোম্পানিতে অভিযান চালিয়ে আটকে রাখা দেড়শ তরুণ-তরুণীকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। চাকরি দেওয়ার নামে ওই তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। দিনের পর দিন আটকে রাখা হয়েছে রুমে। শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। নারীদেরও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। র্যাবের অভিযানে জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেয়ে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথাই তুলে ধরলেন কয়েকজন। তাদেরই একজন মোহাম্মদ মিলন (২০)। বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নে। প্রিয় বন্ধু জিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে ঢাকার উত্তরায় আসেন। গত ১৫ জুলাই উত্তরায় লাইফওয়ে কোম্পানির ওই অফিসে ঢোকার আগে তার বন্ধু জানান, এখানে যারা কাজ করেন, তারা সবাই সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা। এখানে চাকরি করলে ভালো সুযোগ-সুবিধা আছে।

মিলন বলেন, তাদের কথায় রাজি না হলে আমাকে প্রথমে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। তিন দিন খেতে দেওয়া হয়নি আমাকে। এরপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। তাদের অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো বন্ধু রুবেল ও ফরহাদকে ডেকে নিয়ে আসি। তাদের বুঝিয়ে বলি, আমি ও জিয়া এখানে টাকা দিয়েছি। ভালো চাকরি করছি। তোরাও টাকা দে, ভালো হবে। আমার কথা মতো রুবেল ও ফরহাদ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা করে দেয়। এভাবে তারাও আরও কয়েকজনকে নিয়ে আসে এবং তারাও একই পদ্ধতিতে টাকা দেয় কোম্পানিতে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব