
প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২৩:২৮

কলাপাড়ায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে হামলা চালিয়েছে একদল মুখোশধারীরা। শনিবার রাতে উপজেলার মহিপুর থানার বিপিনপুর গ্রামের সালাম মুসুল্লীর বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় গৃহকর্তা সালাম মুসুল্লী(৭০)কে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মুখোশধারীরা। আহত সালাম মুসুল্লীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এদিকে এঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান ও মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো: মাহবুবুর রহমান।
আহত সালাম মুসুল্লী জানান, শনিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে সাত আট জনের একদল মুখোশধারী সিঁধ কেটে তার ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। এরপর বৈদ্যুতিক আলো জ্বালিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় সালামের হাত-পা ও মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। একজন তার গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা-পয়সা ও স্বর্নালঙ্কার বের করে দিতে বলে। এতে তিনি রাজী না হলে তার ডান পায়ের হাঁটুর নীচে এবং বাম পায়ের হাঁটুর নীচে উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এরপর মুখোশধারীরা তার স্ত্রীকে মারধর করে ষ্টীল আলমিরা ও কেবিনেট ভেঙ্গে নগদ ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা, একটি মোবাইল সেট ও স্ত্রীর কানে পরিহিত স্বর্নালঙ্কার নিয়ে যায়। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এ হামলার সময় মুখোশধারীরা তাদের ঘরে থাকা ভাতও খেয়ে ফেলে।
আহত সালাম মুসুল্লীর মেয়ে মেহেরুন্নেছা জানান, রাতে মা আমাকে ফোন করে কোন রকম বলেছিল বাড়িতে ডাকাত পরেছে। পরে কলাপাড়া থানায় ফোন করে জানালে তারা মহিপুর থানায় জানাতে বলে। মহিপুর থানার ফোন নাম্বার না থাকায় ৯৯৯ এ ফোন করে জানালে তারা রাতেই বাড়িতে পুলিশ পাঠায়। পরে সে কলাপাড়া থেকে বাড়িতে পৌছে স্থানীয়দের সহযোহিতায় তার বাবাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মাহফুজুর রহমান জানান, ’ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। আইনী পদক্ষেপ গ্রহনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।