পর্যটকদের ভিরে মুখরিত হয়ে উঠছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ১৬ই আগস্ট ২০১৯ ০২:১২ অপরাহ্ন
পর্যটকদের ভিরে মুখরিত হয়ে উঠছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

বাংলাদেশের দক্ষিন অঞ্চলের সর্বাধিক জনপ্রিয় পর্যটন স্থান সগরকন্যা নামে খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ঈদের পরবর্তী সময় উপচে পরা ভিড়। ঈদের আমেজেকে ঘিরে পর্যটকদের ভিরে মুখরিত হয়ে উঠছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।
পর্যটকদের কাছে কিছু অভিযোগ থাকলেও পুলিশ বলছে ২৪ ঘন্টাই নিরাপত্তার বেষ্টুনিতে রাখা হয়েছে পুরো পর্যটন এলাকা।শান্ত সমুদ্রে স্নান আর মিষ্টি রোদে সৈকতে হাঁটাচলা-ঘোরাঘুরি ছাড়াও ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, শ্রীমঙ্গল ও সীমা বৌদ্ধ বিহার, ফাতরারবন, লেবুর চর, গঙ্গামতির চর, কাউয়ার চর, শুঁটকি পল্লিসহ রাখাইন পল্লিতে দেশি-বিদেশি নানা বয়সী পর্যটকদের ক্লান্তিহীন ছুটোছুটি চলছে অবিরাম।সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, সমুদ্রের ঢেউ আর গঙ্গামতির চরে লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ দেখতে ভিড় দেখা গেছে পর্যটকদের। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ঈদের পরের দিন থেকে শুক্রুবার পযন্ত পর্যটকদের উপচেপরা ভিরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদে দৌরত্ব বেরেছে প্রতিটি রেস্টুরেন্ট খাবারের দাম বাড়তি নিচ্ছি, আবাসিক হোটেলগুলিতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে পর্যটকদের।স্থানীয় ফটোগ্রাফিদের দৌরত্ব চরমে প্রতিটি ছবি তুলে প্রিন্ট করিয়ে নিচ্ছে ২৫টাকা, ছবি তুলে সুধু ইমেজ দিচ্ছে ১০টা যা পর্যটকদের কাছে কষ্টকর, একটা ছবি তুলতে গেলে ১০টা ছবি তুলে, ছবি নিতে না চাইলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে,কোন কিছি বলতে চাইলে লাঞ্ছিত হতে হয় ফটোগ্রাফিদের হাতে।মাদারীপুর থেকে ঘুরতে আসা অজয় কুন্ডু বলেন, দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়লে এখানে সব কিছুর দৌরত্য বাড়ে কয়েগুন। কোন শৃঙ্খলা নেই এখানে। সাধারণ পর্যটকদের ভোগান্তি প্রতিটি পরদে পরদে। হোটেল ভাড়া নিচ্ছে ইচ্ছেমত। আগে যে হোটেল ভাড়া ছিল ১ হাজার টাকা সেটা এখন নিচ্ছে ৪ হাজার টাকা। এমন চলার পরেও প্রশাসন কি করে সেটা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন থেকেই যায়। আমরা এসব নৈরাজ্যের প্রতকারের দাবি জানাই।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দায়িত্ব থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আমাদের এখানে পর্যটকদের নিরাপর্তা ব্যাবস্থা জোরদার করার জন্য পুলিশ বক্সে ২৪ঘন্টাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে এবং পুলিশের একটি হট লাইন নম্বর আমারা ইলেক্ট্রনিক্স বোর্ডের মাধ্যমে প্রচার করে আসছি। আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসলে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তার সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি।