কক্সবাজারের টেকনাফে আটকের দুই ঘন্টা পর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক(৩৮) নিহত হয়েছেন। তিনি সদর ইউনিয়নের পুরাতন পল্লনপাড়া এলাকার মকবুল মৃত মকবুল আহমদের ছেলে। ১১ জুলাই দিবাগত রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লেঙ্গুরবিল মালির মাঠছড়া পাহাড়ের পাদদেশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুইটি এলজি, ১৩ রাউন্ড তাজা কার্তূজ, ২১ রাউন্ড কার্তূজের খোসা এবং পাঁচ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ১০ জুলাই পৌনে ১০ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানায় দায়িত্বরত এসআই স্বপন চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাস টার্মিনালের সম্মুখে প্রধান সড়ক হতে আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী আটককৃত আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, লেঙ্গুরবিল পাহাড়ের পাদদেশে ইয়াবার একটি বড় চালান মজুদ রয়েছে। রাত ১২ টার দিকে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশের একটি দল ওই ইয়াবার বড় চালানটি উদ্ধারে বর্ণিত স্থানে পৌঁছে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আব্দুল মালেকের সহযোগি ও অস্ত্রধারী ইয়াবা ব্যবসায়িরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে এএসআই রামধন চন্দ্র দাস, কনস্টেবল আব্দু শুক্কুর ও রাজু মজুমদার আহত হয়। নিজেদের জীবন ও সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। পুলিশের পক্ষ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এক পর্যায়ে আটককৃত ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। গুলি বিনিময়ের কিছুক্ষণ পর অস্ত্রধারীরা পিছু হটে। ঘটনাস্থলে ব্যাপক তল্লাশি করে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ যুবককে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। এসআই কামরুজ্জামান সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের ৬ টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। ওসি প্রদীপ আরো জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্য টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, নিহত আব্দুল মালেক পেশায় রাজমিস্ত্রীর আড়ালে মাদকের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।