রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের রাজারহাট হযরত সিদ্দিক আকবর (রহ:) মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইমরান হোসেন (১০)। পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলা গ্রামের মো. লিটনের একমাত্র পুত্র সে। এক বছর আগে হঠাৎ ইমরানের ব্রেইন টিউমার ধরা পড়লে সুখের সংসারে নেমে আসে ঘন অন্ধকার। পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তানকে বাঁচাতে পিতা-মাতা এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ খরচ করেছেন। কিন্তু এরপরেও সুস্থ হয়ে উঠেনি ইমরান। চিকিৎসক জানিয়েছেন ইমরানকে বাঁচাতে হলে দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। এই কাজে প্রায় ৩ লাখ টাকার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিকে অভাব অনটনের সংসারে তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে ইতিমধ্যে নিজের সঞ্চয় ও সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন তার পিতা-মাতা। তাই পুত্রকে বাঁচাতে সকলের সাহায্য কামনা করেছেন তারা।
ইমরানের পিতা মো. লিটন বলেন, ‘পরিবারে আমার ২ মেয়ে ও ১ পুত্রের মধ্যে ইমরান সবার বড়। ইমরানের ব্রেইন টিউমার ধরা পড়লে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। এই টাকা জোগাড় করতে আমার ব্যক্তিগত সহায়-সম্পদ প্রায় শেষ। এমনকি বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন থেকেও ঋণ নিয়ে এখন পথে বসেছি। চিকিৎসক জানিয়েছেন আমার পুত্রকে খুব দ্রুত অপারেশন না করালে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। এদিকে অপারেশন করাতে আরও প্রায় ৩ লাখ টাকা প্রয়োজন হলেও এই টাকা জোগাড় করা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমার পুত্র বাঁচতে চাই, তাকে বাঁচাতে আমি সকলের সাহায্য কামনা করছি।’
পদুয়া রক্তদান সংস্থার ইয়াছিন আরফাত মিজান জানান, ইমরান খুবই মেধাবি শিক্ষার্থী এবং একজন দরিদ্র পিতার শিশুপুত্র। যে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সামান্য কিছু টাকার জন্য সে ধুকে ধুকে মৃত্যুর কাছে হারতে পারে না। চলুন সকলের সম্মিলিত ভাবে তাকে সুস্থ করে তোলতে এগিয়ে আসি। তাকে সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করুন- ০১৮৪৬-২৮০৭৭২ এবং ০১৮৩৮৭৮৪৬৭৮।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।