আশুলিয়ায় এক তরুনী ও গার্মেন্টকর্মী ধর্ষণের পৃথক ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে তরুনী ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হলেও গার্মেন্টস কর্মী ধর্ষণের মূল আসামীকে আটক করতে পারিনি পুলিশ। শু্ক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
এঘটনার পর থেকে আশুলিয়ার জামগড়া গোরাট এলাকার মৃত রূপ মিয়ার ছেলে অভিযুক্ত ধর্ষক আনা মিয়া (৪৮) পলাতক রয়েছেন বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজিকুল ইসলাম। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলের (ওসিসি) তে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে শনিবার (২৯ জুন) অপর তরুনীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে ভুক্তভোগী সেই কলেজ ছাত্রী তরুনী নিজে বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত তানভীর রায়হান (২৬) ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার জিন্নাঘর এলাকার বশির আহমেদ এর ছেলে।
আশুলিয়া থানার উপ- পরিদর্শক( এসআই) আজহারুল ইসলাম জানান, তিন বছর পূর্বে এক বন্ধুর মাধ্যমে তানভিরের সাথে পরিচয় হয় ওই তরুনীর। সে সময় তানভির নিজেকে রায়হান নামে পরিচয় দিয়ে ওই তরুনীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্ক করে তানভীর। এরপর সে কৌশলে শারিরীক সম্পর্কের গোপন ভিডিও তৈরি করে তরুনীকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিল। এমনকি তার কথামত না চললে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তানভীর।
এঘটনার পর গতকাল শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুর ২ টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ভুক্তভোগীর বাড়িতে এসে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে ওই যুবক। এঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তানভীরকে জামগড়া এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলের (ওসিসি) তে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।