
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০১৯, ৩:১১

ক্যাম্প কেন্দ্রিক গড়ে উঠা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ ইয়াবা,মানব পাচার, হাটবাজার,অপহরণ বাণিজ্য,শালিস-বিচার অব্যাহত রেখেছে।তাঁরা ক্যাম্প অভ্যন্তরে অপকর্ম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গা শিবিরের অভ্যন্তরে অন্তত ডজনেরও বেশী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে হামলা,সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। চলছে অস্ত্রের মহড়া ও ঝনঝনানী। গত ৫ মাসে খুন হয়েছে ৩৭ রোহিঙ্গা। অপহরণ, ধর্ষণসহ নানা অপরাধও বাড়ছে। স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের ভাষ্য, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন বিলম্বিত ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিতভাবে শিবিরগুলোকে অস্থিতিশীল করে তোলা হচ্ছে।বর্তমানে উখিয়া-টেকনাফের ৩৩ টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯১৩ জন।


গত ২৬ মার্চ বালুখালী শিবিরের ই-ব্লক থেকে পুলিশ আয়েশা বেগম (১৯) নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে। ধর্ষণের পর তাঁকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মুখোশধারী একদল রোহিঙ্গা উখিয়ার কুতুপালং শিবির থেকে খতিজা বেগম নামের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে। এরপর হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে যায়। উখিয়ার বালুখালী শিবিরের বাসিন্দা এক গৃহবধূ বলেন, সম্প্রতি এক রাতে মুখোশধারী তিন যুবক ঘরে ঢুকে তাঁর এক কিশোরী মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। উখিয়াস্থ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গারা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা না গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।আর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে কিছু-কিছু এনজিও সংস্থাকে দোষারোপ করেন তিনি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব