নরসিংদীর শিবপুর থেকে নিখোঁজের ১১ দিন পর সিয়াম (৮) নামে তৃতীয় শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া ছাত্রের অর্ধগলিত লাশ বরিশাল থেকে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি অভিযানিক দল।গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক সাফায়তকে গ্রেপ্তার করে।শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে বরিশালের হিজলা উপজেলার আবুপুরের দুর্গম চরাঞ্চলে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানকি দল অভিযান চালিয়ে স্কুল ছাত্রের লাশটি উদ্ধার করা করে।নিহত স্কুল ছাত্র সিয়াম শিবপুর উপজেলার কারারচর (বিসিক শিল্পনগরী) এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী হাফেজ নূর উদ্দিনের ছেলে।সে পলাশ উপজেলার দড়িচর এলাকার আল-সাফা কিন্ডার গার্টেনের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিয়ামের চাচাতো মামা সাফায়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।পুলিশ ও স্কুলছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,গত ২ জুন সন্ধ্যায় বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজ হয় সিয়াম।ওই রাতেই অপহরণকারীরা তার মা লাকি আক্তারের মোবাইলে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা শিবপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
এরপর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ সিয়ামকে উদ্ধারে গোয়েন্দা পুলিশকে দায়িত্ব দেন।ঘটনার দুইদিন পর অপহরণকারীরা সিয়ামের পরিবারকে বিকাশ নম্বর দিলে তাতে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ পাঠানো হয়।এ সময় প্রযুক্তির সহায়তায় সিয়ামের চাচাতো মামা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালীনগর এলাকার হাবিব মিয়ার পুত্র ঘাতক সাফায়াত হোসেনের অবস্থান শনাক্ত করে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।পরে তার দেওয়া তথ্যে আজ (শুক্রবার) বরিশালের হিজলা উপজেলার আবুপুরের দুর্গম চরাঞ্চল আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে সিয়ামের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা করে।এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপন কুমার সরকার বলেন, ‘সিয়ামকে অপহরণ করে সাফায়াত হোসেন।সিয়ামের পরিবারের কাছ থেকে সে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে।পরে ৯ জুন শিশু সিয়ামকে নিয়ে সদরঘাট থেকে মাদারীপুরের কালকিনিগামী দ্বীপরাজ-৪ লঞ্চযোগে বরিশাল যাওয়ার পথে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেয় সাফায়াত।সাফায়াতের দেওয়া তথ্যে সিয়ামের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।