রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেওয়া হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
শ.ম.গফুর , উপজেলা প্রতিনিধি উখিয়া- কক্সবাজার
প্রকাশিত: বুধবার ১২ই জুন ২০১৯ ১০:১৫ অপরাহ্ন
রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেওয়া হবে

রোহিঙ্গা শিবিরে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে জেলা আইনশৃংখলা কমিটির মাসিক সভায়। শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা কিভাবে অবাধে মোবাইল ও বাংলাদেশী সিম ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।মংগলবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সব অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে শিগগিরই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মালিকানাধীন জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সেটি উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সভায় রোহিঙ্গারা কি করে অবাধে মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে,তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের।

এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন বলেছেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। খুব শিগগিরই রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিয়ন্ত্রনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। কিভাবে মোবাইল ব্যবহার নিয়ন্ত্রন করা যায়Ñতা নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা শিবিরে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রোহিঙ্গা শিবিরে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। সক্রিয় হয়ে উঠেছে সশস্ত্র রোহিঙ্গা গ্রুপ। তাঁরা নানা অপরাধমূলক তৎপরতা চালাচ্ছে।’ইয়াবা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কথা বলেন টেকনাফের ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘শুধু ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মারলেই ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সীমান্ত সড়ক নির্মাণ এবং আশ্রয় শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের অবাধে যাতায়াত নিয়ন্ত্রন করতে হবে।

’সভায় কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ বলেন, ‘পুলিশের সোর্স পরিচয়ে কিছু লোক জনপ্রতিনিধিদের হয়রানি করছে। খুনিয়াপালংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদকেও হয়রানি করা হচ্ছে। ’সভায় কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে চলাচলরত ফিটনেসবিহীন স্পীডবোটের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। ফিটনেসবিহীন স্পীডবোট চলাচল বন্ধের দাবী জানানো হয় সভায়। এছাড়াও শহরের যানজট নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজনীয়তা, আড়াই হাজার টমটম চলাচল এবং টার্মিনালে রাস্তার উপর অবৈধভাবে টোল আদায়ের বিষয়ে আলোচনা হয়। টার্মিনালে অবৈধ টোল আদায় বন্ধের দাবী জানান জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল। সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাহান আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব