বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জাঙ্গ ঝু বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন দুর্ভোগ ও ভোগান্তির ব্যাপারে চীন ও তার দেশের জনগণ ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের তাদের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করে রাখাইনে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ সময় চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গারা রাখাইনে স্ব-স্ব ভিটে মাটিতে ফিরে যেতে সম্মত আছে কিনাও জানতে চেয়েছেন।মঙ্গলবার বিকেলে চীনের রাষ্ট্রদূত উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরির্দশনে এসে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে বিকাল পৌনে ৩টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী একান্ত আলোচনা বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে কুতুপালং-১ ও ২ নং ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী সচিব মো. রেজাউল করিম ছাড়াও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মাস্টার মহিবুল্লাহ ও ভাইস চেয়ারম্যান মাস্টার নুরুল আলমের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল অংশ নেন। বাংলাদেশস্থ চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকারসহ পূর্ণ নাগরিকত্ব দিয়ে মিয়ানমারকে ফেরৎ নিতে হবে। এতো দিন জানতাম না রোহিঙ্গাদের উপর এতো লৌমহর্ষক ঘটনা ঘটিয়েছে মিয়ানমার। উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে সঠিক তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে অংশ নেয়া মাস্টার নুরুল আলম জানান, উখিয়ার কুতুপালং ২নং ক্যাম্প ডি-৫ ব্লকের ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয়ের সরকারি কর্মকর্তা ও রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর জুলুম, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়ন, অগ্নিসংযোগ করেছেন বলে জানতে পেরেছেন। ক্যাম্প ইনচার্জের কর্যালয়ে ৯ জন রোহিঙ্গা নেতা ১ জন নারী রোহিঙ্গা নেত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ স্বাধীন নাগরিকত্ব, মৌলিক অধিকারসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে ফেরৎ নিতে হবে। চীনের রাষ্ট্রদূত বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে কুতুপালং ক্যাম্প ত্যাগ করেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।