ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। আর এই ঈদের আনন্দকে আরও বাড়িতে তুলতে দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়া উপেক্ষা করে পর্যটকদের ভীড় জমেছে কুয়াকাটায়। ঈদের এই লম্বা ছুটিতে হাজারো পর্যটকের পদচারনায় মুখর কুয়াকাটা সৈকত। এসব পর্যটকদের আতিথিয়েতা দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এছাড়া পর্যটকদের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের দিন বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সৈকতের সী-বিচসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে দেশি-বিদেশি নানা বয়সের হাজারো পর্যটকের ভীড়। পর্যটকের ভাড়ে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতে বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। বৈরী আবহাওয়া থাকা সত্তে¡ও সমুদ্রের ঢেউয়ের উম্মাদনার সাথে নেচে গেয়ে গোসল করছেন পর্যটকরা। সৈকতের বালিয়াড়িতে পাতা বে ছাতার নিচেসহ বিভিন্ন পয়েন্টে নানা বয়সের মানুষ গল্প, গান আর আড্ডায় মেতে রয়েছেন। ঘুরতে আসা পর্যটক ও দর্শনার্থীদের সাথে নতুন নতুন বন্ধুত্বের সুযোগে হাতের মোবাইল দিয়ে নানা ঢংয়ের সেলফি তুলে পোস্ট করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। কেউ কেউ আবার সৈকতে ফুটবল ও হাডুডু খেলায়ও মেতে রয়েছে। এছাড়া দ্রæতগামী স্পিড বোটগুলো উচ্চ শব্দ করে একের পর এক পর্যটক বোঝাই করে গভীর সমুদ্রে ছুটে যাচ্ছে। এছাড়া ছোট ছোট ফাইবার বোটগুলো নানা বয়সী পর্যটকদের নিয়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ছুটে যাচ্ছে। আবাসিক হোটেল-মোটেল, খাবার ঘর ও শপিংমলসহ পর্যটনমুখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেড়েছে বেচা-বিক্রি। স্থানীয় রাখাইন মার্কেট, নারিকেল বাগান, ইকোপার্ক, জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার, সুন্দরবনের পূর্বা ল খ্যাত ফাতরার বনা ল, গঙ্গামতি, কাউয়ার চর, লেম্বুর চর, শুটকি পল্লী, লাল কাকড়ার চর ও সৈকতের জিরো পয়েন্টে শিশু কিশোর যুবক যুবতীসহ নানা বয়সী পর্যটকদের পদচারণায় এখন মুখোরিত কুয়াাকাটা। আর এসব পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তায় বিভিন্ন দুর্গম স্পটেও অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ।
ঢাকা থেকে স্ব-পরিবারে ঘুরতে আসা জাহিদ জানান, ঈদের দিন থেকেই কুয়াকাটায় বৃষ্টি হচ্ছে। আর এই বৃষ্টিতে ভিজে নাচে গানে উল্লাসিত হয়ে পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছি। কুমিল্লা থেকে আসা আরেক পর্যটক জুলহাস মিয়া জানান, বৈরী আবহাওয়া থাকা সত্তে¡ও এখানকার প্রাকৃতিক নৈসর্গিক দৃশ্য দেখে বিমোহিত হয়েছি। সমুদ্র বাড়ি রিসোর্টের সত্ত্বাধিকারী জহিরুল ইসলাম মিরন জানান, ঈদের প্রথম দিকে হোটেল বুকিং না থাকলেও এখন মোটামুটি ভালই বুকিং আছে। ঈদের পর থেকে পর্যটকের ভীড় বাড়ছে। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র এএসপি মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে আগত পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের দুটি মোবাইল টিম গঠন রয়েছে। ফাতরার বন ও লেম্বুরচরসহ বিভিন্ন দুর্গম স্পটে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকেও ট্যুরিষ্ট পুলিশের নজরদারি রয়েছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।