আজও ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ১লা জুন ২০১৯ ১২:৩৭ অপরাহ্ন
আজও ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়

প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ। তবে সকালের বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন তারা। শনিবার (১ জুন) সকাল থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের আনাগোনা শুরু হয়। যদিও, নির্ধারিত সময়ের দুই থেকে তিনঘণ্টা পর ট্রেন ছাড়ছে। তারপরও বাড়ি যেতে পেরে খুশি সবাই। সড়কেও ভিড় আছে ঘরমুখো যাত্রীদের। তবে, যানজট এখনও চোখে পড়েনি।কিন্তু এই বাড়ি ফেরায়ও ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ক্রমে বাড়ছে অপেক্ষা।ঈদে ছুটির দ্বিতীয় দিন শনিবার (১ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেরিতে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সকাল পৌনে ৮টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়েছে মহানগর প্রভাতি এক্সপ্রেস। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের সকাল ৭টা ১৯মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে ৮টা ২০ মিনিটে। সকাল সোয়া ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও উত্তরবঙ্গগামী একতা এক্সপ্রেস দুই ঘণ্টা দেরিতে সকাল ১০টায় ছেড়েছে। একইভাবে নীলসাগর এক্সপ্রেস ভোর 8টার পরিবর্তে সকাল পৌনে ১১টায় ছাড়বে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সকাল ১০টার দিকে রংপুরগামী একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি এখনও ছাড়েনি। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাওয়ার জন্য সকাল থেকে বসে আছি, কিন্তু ট্রেন কখন আসবে তা জানি না। তিনি দুঃখ করে বলেন, এসি চেয়ারের টিকিট কেটেছি, কিন্তু হঠাৎ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, ট্রেনটির এসি বগি নষ্ট হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, আমাদের নন এসিতে যেতে হবে। একই সময় কথা হয় খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী রিয়াজুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাড়ি যাব বলে সেহেরি খেয়েই বাসা থেকে চলে এসেছি। কিন্তু এখনও ট্রেন ছাড়ছে না। বৃদ্ধ মা আর বাচ্চাদের নিয়ে কতক্ষণ বসে থাকা যায়?

এছাড়া অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসও নির্ধারীত সময়ের চেয়ে দুই ঘণ্টা দেরিতে প্ল্যাটফর্ম-৭ ছেড়েছে। নিরাপদ বাহন হওয়ায় মানুষ ট্রেনেই বেশি ফেরেন নিজের শিকড়ে। কিন্তু ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় শুরু হওয়ায় অপেক্ষার শেষ নেই তাদের। এদিকে, রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনের প্যাটফর্মে এখন শুধুই ডিজিটাল ডিসপ্লেতে চোখ পেতে অধীর অপেক্ষায় যাত্রীরা। কিন্তু কখন এ অপেক্ষার অবসান হবে, তা জানে না কেউ। ডিজিটাল ডিসপ্লেতে দেখা যাচ্ছে, চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছার কথা থাকলেও সেটি এখনও ঢাকায়ই এসে পৌঁছাতে পারেনি। সকাল সাড়ে ১০টার পর কমলাপুর গিয়ে পৌঁছাবে বলে ডিসপ্লেতে প্রদর্শন করা হচ্ছে। এরপর এই ট্রেন পরিষ্কার, তেল লোড ও অন্যান্য সব প্রক্রিয়া শেষ করে কখন কমলাপুর ছাড়বে সেটা বলা এখনও মুশকিল।

একইভাবে রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছার কথা, কিন্তু সেটি বর্তমানে ঢাকায় আছে বলে ডিসপ্লেতে দেখা যাচ্ছে।তবে তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস সকাল ১০টা ১২ মিনিটে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছে নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট পর ১০টা ১৭ মিনিটে স্টেশনটি ছেড়ে যায়। পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছার কথা থাকলেও ডিসপ্লেতে দেখানো হচ্ছে, সেটি ঢাকায় আছে, তবে কখন কমলাপুর ছাড়বে, সেটার হদিস নেই। বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন কেনোটাই সময়মতো ছেড়ে যেতে পারছে না বলে জানা গেছে। এছাড়া রংপুর এক্সপ্রেসের ঢ এবং এক্সট্রা-২ সহ তিনটি বগির টিকিট বিক্রি করা হলেও সেসব বগি নেই বলে স্টেশনের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের বলা হচ্ছে, টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নেওয়ার জন্য। এ জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

ইনিউজ ৭১/এম.আর