
প্রকাশ: ৩১ মে ২০১৯, ৪:৭

বাংলাদেশের নৌপথে কয়েক বছর ধরেই শুরু হয়েছে বিলাসবহুল লঞ্চের প্রতিযোগিতা। আর এর প্রভাব পড়ছে দক্ষিণা লগামী লঞ্চ মালিকদের মধ্যেও। ফলে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর এবং ডিজিটাল সুযোগ সুবিধাসহ নিত্যনতুন বিলাসবহুল প্রাসাদসম লঞ্চ নামছে পানিতে। প্রতিবার যেসব বাণিজ্যক অর্থাৎ যাত্রীবাহী নৌযান জলে ভাসছে, তার প্রতিটিতে ২৫-৩০টি এসি ক্যাবিন এবং বিলাসবহুল ভোজনালয় রয়েছে। ফলে এসব লঞ্চের ভ্রমন করলে মনে হবে কোন রাজপুরীতে প্রবেশ করেছেন। বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুটে সরাসরি চলাচলরত সুন্দরবন-১০, ১১, সুরভী- ৭, ৮, ৯, কীর্তনখোলা-২, পারাবাত-১২; অ্যাডভেঞ্ছার-১ ও গ্রিনলাইন-২ ও ৩ সহ মোট ১০টি লঞ্চের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। সম্প্রতি মানামী ও কুয়াকাটা-২সহ নতুন ও আধুনিকায়ন করা এসব লঞ্চ গুলোতে জিপিএস, ইকো সাউন্ডার, ফগ লাইট, হাইড্রোলিক ও ইলেক্ট্রনিক হুইল, আধুনিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে থাকে। আবার এরমধ্যে সুন্দরবন কোম্পানির ২টি লে সিসিইউ এবং লিফলেটের ব্যবস্থাও রয়েছে।



এছাড়া ঈদ মৌসুম এলেই এক প্রকার অলিখিত প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। ডাবল ট্রিপের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে প্রায় প্রতিটি লঞ্চই। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায়শ:ই। বিভিন্ন নৌপথে এবার ঈদ উপলক্ষে নৌযানগুলোর বিশেষ সেবা শুরু হওয়ার আগেই নয় দিনের ব্যবধানে অন্তত তিনটি লঞ্চ দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় এই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার সাত ঘণ্টার ব্যবধানে এই নৌপথে দুটি লঞ্চ দুর্ঘটনার কবলে পড়লে এর কয়েক হাজার যাত্রী অল্পের জন্য রক্ষা পায়। ফলে নামে বিলাসবহুল ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন হলেও সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন যাত্রী সাধারণ।



ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব