
প্রকাশ: ২৫ মে ২০১৯, ২:৫১

কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সায়মন সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চাদাঁবাজীর অভিযোগে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের। এর আগেও তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া ও জয়দেবপুর থানায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, জবরদখল, অবৈধ গ্যাস সংযোগ, ছিনতাই, চেক জালিয়াতিসহ একাধিক মামলা ও সাধারন ডায়েরী রয়েছে। আশুলিয়া থানার মামলা এজাহার সুত্র ও বাদী সুত্র থেকে জানা গেছে, মোঃ রাজা মোল্লার মালিকানাধীন আশুলিয়ার বাইপাইল মোড়ে “উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস” নামক একটি বাস কাউন্টারে সায়মন সরকার, লিমন সরকার, আমির আলী ভূইয়া, রিয়াজ গংরা বেশ কিছুদিন কাউন্টারে এককালীন ৫০,০০০(পঞ্চাশ হাজার টাকা) ও গাড়ী প্রতি দৈনিক ৬০০(ছয়শত) টাকা চাঁদার দাবী করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ১৬/০৫/১৯ ইং রাত ১১.৩০ ঘটিকার দিকে সায়মন সরকারের নির্দেশে লিমন সরকার, রিয়াদ,উজ্জল সরকারসহ ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী হাতুড়ী, রড, লোহার পাইপ,লাঠিসোটা নিয়ে কাউন্টারে প্রবেশ করে রাজা মোল্লাকে এলোপাথাড়ী পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় সন্ত্রাসীরা কাউন্টারের ক্যাশ বাক্স থেকে ১,৭০,০০০/- (একলক্ষ সত্তর হাজার) নগদ টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় রাজা মোল্লার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। এ ঘটনায়, আহত মোঃ রাজা মোল্লা বাদী হয়ে সায়মন সরকার, লিমন সরকারসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৮/১০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন, আশুলিয়া থানা মামলা নং- ৮৬, তাং ২৪/০৫/১৯ইং। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, মামলা তদন্তাধীন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও গত ১১/০৯/ ১৪ইং তারিখে ছাত্রলীগ নেতা সায়মন সরকারের বিরুদ্ধে ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে মন্জুরুল ইসলাম মন্ডল বাদী হয়ে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আমলী আদালত (আশুলিয়া) একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেন, গত ১৩/০৭/১৫ ইং তারিখে সায়মন সরকারের বিরুদ্ধে ৫০,০০,০০০ (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে বাগবাড়ির মডার্ন স্ট্রাাকচার লিমিটেড কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে জয়দেবপুর থানায় সাধারন ডায়েরী করেন।
এছাড়াও কাশিমপুুর থানার ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকে সায়মন সরকার বেপরোয়ার তুঙ্গে ওঠে। কাশিমপুর থানা এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের দিয়ে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে সন্ত্রাস, দখলবাজি, ছিনতাই চাঁদাবাজির মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সায়মন বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে বা প্রতিবাদ করলে তাকে হামলা ও মিথ্যা মামলাসহ নানাভাবে হয়রানীর স্বীকার হতে হয়। তার জলন্ত প্রমান চাঁদা না দেওয়ার কারনে তার সন্ত্রাসী হামলায় হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে কাউন্টার মাস্টার রাজা মিয়া।তার জবর দখলের প্রতিবাদ করায় আশুলিয়ার জনপ্রিয় যুবলীগ নেতা থানা যুবলীগের আহবায়ক দানবীর মোঃ কবির হোসেন সরকারের নামে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করছে।
এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা সায়মন কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি হলেও তার চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম সুদুর সাভার আশুলিয়া পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। তার জবরদখল বাহিনী গার্মেন্টস কলকারখানাসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান দখলসহ মোটা অংকের মাসোহারা নিয়ে থাকে। আর যদি কেউ দিতে অস্বীকার করে তাহলে তাকে থাকতে হয় মিথ্যা মামলা নিয়ে কারাগারে, হাসপাতালের বিছানায় অথবা কবরে। তার জুলুম নির্যাতনে এলাকাবাসীসহ কয়েকটি থানার ব্যাবসায়ী মহল অতিষ্ঠ। এতে করে ছাত্রলীগের যেমন ইমেজ নষ্ঠ হচ্ছে তেমনি সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে উন্নয়ন রাজনীতির ধারক বাহক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথা বর্তমান সরকারের। তাই দেশ সংগঠন ও রাজনৈতিক আস্থা ও সুনাম ধরে রাখতে বা অক্ষুন্ন রাখতে সায়মন সরকারের মত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা ও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করলে মুক্তি পাবে ব্যবসায়ী মহল, সাধারণ জনগণের ফিরে পাবে আস্থা।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব